এক্সট্রা টাইমেও শেষ নয়, দুর্দান্ত ম্যাচের শেষ হল টাইব্রেকারে। ৪-২ ব্যবধানে টাইব্রেকারে জিতে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে গেল আর্জেন্টিনা (Argentina)। বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন তবু এবারের মত ট্র্যাজিক হিরো থেকে গেলেন এমবাপে। টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর ট্রফি এবার আর্জেন্টিনার। মেসির কাপ হয়ে গেল অবশেষে। আক্ষেপ পূরণ হল লিও মেসি। শেষ বিশ্বকাপ স্মরণীয় হয়ে থাকল আর্জেন্টিনার।
আরও পড়ুন-আসানসোলে পৌঁছলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল
প্রসঙ্গত লিওনেল মেসি প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একটি বিশ্বকাপের প্রতিটি নক-আউট ম্যাচে গোল করার নজির গড়লেন। ‘রাউন্ড অফ ১৬’-তে অস্ট্রেলিয়া, কোয়ার্টার-ফাইনালে নেদারল্যান্ডস, সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোল করলেন তিনি। প্রথমার্ধে একপেশে খেলা হচ্ছিল বলা যায়। লিওনেল মেসি ও অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া আর্জেন্তিনাকে ২-০ গোলে এগিয়ে দিয়েছিল। ফ্রান্স গোলের ধরে কাছে পৌঁছতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও খেলাটা ৭০মিনিটের মাথায় ঘুরে গেল। ৯০ সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে জাগিয়ে তোলেন কিলিয়ান এমবাপে। ম্যাচ ২-২ শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে।
আরও পড়ুন-মরক্কোকে হারিয়ে তিনে শেষ করল ক্রোয়েশিয়া
অতিরিক্ত সময়ে ১০৯ মিনিটে লিওনেল মেসি আবার একবার গোল করে। ম্যাচে এগিয়ে যায় টিম মেসি। তবে ১১৮ মিনিটে এমবাপে ফের গোল করে ম্যাচে। জিওফ হার্স্টের পর মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন কিলিয়ান এমবাপে। কিন্তু শেষে পেনাল্টিতে ৪-২ ব্যবধানে জেতে আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি শ্যুট আউটে আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ অসাধারণ রূপ দেখায়। অরিলিয়ঁ চাউমেনি ও কিংগসলে কোমানের পেনাল্টি বাঁচান মার্তিনেজ।