অনির্বাণ দাস: আইএসএলের সুপার সিক্সে ওঠার স্বপ্ন আগেই ভেঙে গিয়েছে। এবার এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের সেমিফাইনালে ওঠার আশাও ভেঙে যাওয়ার পথে!
বুধবার কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বে ঘরের মাঠে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব আর্কাদাগের কাছে ০-১ গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের কাছে বড় ধাক্কা। যা পরিস্থিতি, তাতে আগামী ১২ মার্চ ফিরতি লেগের ম্যাচটা অন্তত দু’গোলের ব্যবধানে জিততে হবে অস্কার ব্রুজোর ফুটবলারদের।।
প্রত্যাশামতোই এদিন পাঁচ বিদেশি নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ (East Bengal)। কিন্তু ১০ মিনিটেই হেক্টর ইউস্তের ভুলে খেলার গতির বিপরীতে গোল হজম করে বসে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। হেক্টরের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করেন আর্কাদাগের গুরবানোভ। পিছিয়ে পড়ে দিশাহীন ফুটবল খেলতে থাকেন সাউল ক্রেসপোরা। অন্যদিকে, আওয়ে ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ার পর, রক্ষণের ঝাঁপ ফেলে দেয় তুর্কমেনিস্তানের দলটি। এরই ফাঁকে বিরতির ঠিক আগে গুরবানোভের হেড বাঁচিয়ে লাল-হলুদকে নিশ্চিত পতনের হাত থেকে রক্ষা করেন গোলকিপার প্রভসিমরন গিল। পরের মিনিটেই অবশ্য দিনের সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন মেসি বাউলি। বিপক্ষ রক্ষণের ভুলে বক্সের মধ্যে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শট নিতে দেরি করে হেলায় সুযোগ নষ্ট করেন।
বিরতির পর অবশ্য মরিয়া হয়ে গোলের জন্য ঝাঁপিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু আর্কাদাগ ততক্ষণে নিজের রক্ষণ আরও জমাট করে ফেলেছে। তাই বিপক্ষের বক্সের মধ্যে পৌঁছেও, লাল-হলুদের যাবতীয় আক্রমণ পায়ের জঙ্গলে আটকে গেল। বেশ কিছু কর্নার আদায় করলেও, তা কোনও কাজে এল না। গোটা ম্যাচে একটাও সেন্টার ঠিকঠাক করতে পারেননি নাওরেম মহেশ, রিচার্ড সেলিসরা। এরই ফাঁকে ৭১ মিনিটে ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন সাউল। ফিরতি বল বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন সেলিস। মরিয়া অস্কার শেষদিকে ক্লেটন ও বিষ্ণুকে মাঠে নামিয়ে দিলেও কোনও লাভ হয়নি।
বেঙ্গালুরু ম্যাচে লাল কার্ড দেখে দলকে ডুবিয়েছিলেন। এই ম্যাচেও চূড়ান্ত হতাশ করলেন দিয়ামানতাকোস। গতবারের আইএসএলের টপ স্কোরারকে এবার অনেক আশা নিয়ে সই করিয়েছিল লাল-হলুদ। গোটা ম্যাচে শুধু হাত-পা ছুঁড়ে গেলেন গ্রিক স্ট্রাইকার। হতাশ করলেন মেসিও। ওই সুযোগ হাতছাড়া না করলে, ম্যাচটা অন্তত ড্র রাখতে পারত ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন- কেন, রাচিনের ব্যাটে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড