প্রতিবেদন: গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে। তিন মাসের মধ্যে নতুন সরকার গঠনের যে আশা করেছিলেন বাংলাদেশের মানুষ, তাতে জল ঢেলে খোদ দেশের সেনাপ্রধান বুঝিয়ে দিলেন, অদূর ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচন হচ্ছে না বাংলাদেশে। শুধু তাই নয়, অন্তত এক বছরের মধ্যে সরকার গঠনের যে সম্ভাবনা নেই, জানালেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। তাঁর দাবি, আগামী দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে নির্বাচন হবে। সেই প্রক্রিয়ায় মহম্মদ ইউনুস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারকে সব রকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। ফলে হাসিনা সরকারের পতনের পর মাত্র তিনমাসের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের যে ঘোষণা হয়েছিল তার কোনও গুরুত্বই থাকছে না।
আরও পড়ুন-গুণমানের পরীক্ষায় ফেল প্যারাসিটামল-সহ ৫২ ওষুধ
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষকে এখনও ১৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে গণতন্ত্র ফিরে পেতে। অর্থাৎ ইউনুস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার এখনও ১৮ মাস শাসন করবে বাংলাদেশ। ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর আওয়ামি লিগ নেতারা দাবি জানিয়েছিলেন তিন মাসের মধ্যে সরকার গঠনের। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি নেতারাও তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিলেন। তবে জামাতের প্রভাবযুক্ত অন্তর্বর্তী সরকার যে এখনই সে পথে হাঁটতে চায় না, স্পষ্ট হয়ে গেল সেনাপ্রধানের কথায়।
আরও পড়ুন-কড়া নিরাপত্তার মোড়কে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ভূস্বর্গে
অগাস্টে দেশের ক্ষমতা বদলের সময়ে সেনাবাহিনী নিজেদের কোনও রকম পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখলেও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে চলেছে বাংলাদেশ সেনা। সেনার পেশাদারিত্ব রক্ষায় সব রকম ভূমিকা নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন ওয়াকার। তবে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না সেনাবাহিনী, সেকথাও জানিয়েছিলেন ওয়াকার। ইউনুস সরকারকে যে কোনও মূল্যে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন প্রক্রিয়া কবে হওয়া সম্ভব, সেই প্রশ্নের উত্তরে ওয়াকার জানান, এক বছর ছয় মাস সময় লাগবে নির্বাচন হতে। তাঁর কথায়, অন্তত এই সময় লাগবে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে।