নেপাল পুলিশ এবং রাজতন্ত্রপন্থী সমর্থকদের সংঘর্ষ, মোতায়েন সেনাবাহিনী, নিহত ২

সূত্রের খবর, আহতদের মধ্যে অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এই আবহে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।

Must read

নেপালের (Nepal) পুলিশ এবং রাজতন্ত্রপন্থী সমর্থকদের সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল কাঠমান্ডুতে কার্ফু জারি করা হলেও আজ সকালে সেটা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদিনের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক সাংবাদিকের। সূত্রের খবর, আহতদের মধ্যে অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এই আবহে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।  শুক্রবার কাঠমাণ্ডুতে সংঘটিত এই হিংসায় দুইজন নিহত এবং ১১২ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন-ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়াল! নিখোঁজ বহু

প্রসঙ্গত, সংসদীয় ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ২০০৮ সালে নেপালে ২৪০ বছরের রাজতন্ত্র শেষ করা হয়েছিল। যদিও মাঝেমধ্যেই রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবি ওঠে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নেপালের গণতান্ত্রিক দিবসে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের ভিডিয়ো বার্তার পরে হিন্দু রাজতন্ত্রের দাবি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। শুক্রবার পূর্ব কাঠমান্ডুর তিনকুনে এলাকায় এই নিয়ে মিছিল করেন হাজার-হাজার মানুষ। তাদের সকলের হাতে রাজা জ্ঞানেন্দ্রর ছবি এবং নেপালের জাতীয় পতাকা। সেটাতে লেখা ‘দেশকে বাঁচাতে রাজা ফিরে আসুন’, ‘দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন হোক’, ‘আমরা রাজতন্ত্র ফেরত চাই’। স্লোগানও দেওয়া হয়।

এদিনের সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধুন্ধুমার শুরু হয়। পাথর ছোড়া, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়। আটটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
নিরাপত্তা কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। বানেশ্বরে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সুপারমার্কেটে লুটপাঠ চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় সংবাদমাধ্যমের অফিসে। এছাড়াও পর পর পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-কলকাতায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, এসটিএফের জালে মালদার ২ যুবক

পরিস্থিতি সামাল দিতে বিমানবন্দর, গৌশালা, বানেশ্বর চক, তিনকুনে, কোটেশ্বর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় কার্ফু জারি করা হয়। প্রাথমিকভাবে রাত ১০ টা পর্যন্ত কার্ফু জারি করা হয়েছিল। পরে সেটা বাড়িয়ে সকাল সাতটা পর্যন্ত করা হয়। আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে তবে গোটা এলাকা থমথমে হয়ে আছে।

Latest article