প্রতিবেদন : ফের শিরোনামে বিজেপি রাজ্য মণিপুর (Manipur)। গত বছর থেকে শুরু হওয়া জাতিদাঙ্গার রেশ এখনও অব্যাহত। মণিপুরের অশান্তি নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কোনও হেলদোল নেই। চূড়ান্ত ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসনও। উগ্র মেইতেই সংগঠনের সদস্যরা ইম্ফলে এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিককে অপহরণ করার দশদিন পর শুক্রবার সকালে মণিপুরের থৌবাল জেলায় এক সেনা অফিসারকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ। নিজের বাসভবন থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জুনিয়র কমিশনড অফিসারকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহৃত অফিসার থৌবালের উপত্যকা জেলার বাসিন্দা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বর্তমানে তিনি ছুটিতে ছিলেন এবং শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ একটি গাড়িতে করে তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। এই অপহরণের কারণ এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যে। নিজের বাড়ি থেকে খোদ সেনা অফিসার অপহৃত হওয়ার পর প্রশ্ন উঠছে, এই যদি আইনশৃঙ্খলার হাল হয় তবে আমজনতার নিরাপত্তা কোথায়?
এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে অপহৃত সেনা অফিসারকে উদ্ধার করতে পুলিশ ও সেনার যৌথ অনুসন্ধান অভিযান চলছে। ১০২ নম্বর জাতীয় সড়কে চলাচলকারী সমস্ত যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মাত্র দশদিন আগেই মণিপুরের (Manipur) এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অপহরণ করা হয়। সেই ঘটনায় পুলিশ বাহিনীতে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। ইম্ফলে ওই পুলিশকর্তার বাড়িতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মেইতেই সংগঠন আরামবাই টেঙ্গোলের সশস্ত্র সদস্য হিসাবে চিহ্নিত আততায়ীরা আক্রমণ করে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে এক ইন্সপেক্টরকেও অপহরণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁদের উদ্ধার করা হলেও গুরুতর আহত হয়ে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পর উপত্যকার বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তা করার জন্য কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী এবং সেনাবাহিনীকে নামানো হয়। মণিপুরের জাতিগত সংঘাত ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে। অশান্তির জেরে এপর্যন্ত অন্তত ২১২ জন মানুষ নিহত, অসংখ্য আহত ও কয়েক হাজার মানুষের ঘরছাড়া হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মণিপুরে একাধিক নারী নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন- ন্যাটোয় যোগ সুইডেনের