অরূপ বিশ্বাস
যুবকল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
স্বাধীনতা দিবসের দিন ভারতীয় ফুটবলে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার মহম্মদ হাবিব (Mohammed Habib)। কলকাতা ময়দান হারাল ‘বড়ে মিঞা’-কে। ষাট ও সত্তরের দশকে কলকাতা ও ভারতীয় ফুটবলে দাপিয়ে খেলেছেন তিনি। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান। খেলেছেন তিন প্রধানেই। ১৯৭৭-এ পেলের কসমসের বিরুদ্ধে মোহনবাগান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন লড়াকু এই ফুটবলার। ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসের ব্রোঞ্জ জয়ী ভারতীয় ফুটবল দলে ছিলেন তিনি। খেলার ছাড়ার পর কোচিং করিয়েছিলেন মোহনবাগান ও মহমেডানে।
হায়দরাবাদে তাঁর জন্ম হলেও মহম্মদ হাবিবের (Mohammed Habib) ফুটবলার জীবনের উত্থান ভারতীয় ফুটবলের মক্কা কলকাতায়।
১৯৬৬ সালে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। লাল-হলুদ জার্সিতে খেলেছিলেন বেশিরভাগ সময়ে। যদিও মোহনবাগানের জার্সিতে ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছিলেন হাবিব।
ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান থেকে মহামেডান, কলকাতার বড় দলে চুটিয়ে খেলা এই কিংবদন্তি ফুটবলার বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফিতেও খেলেছেন। ১৯৮০ সালে পেয়েছিলেন অর্জুন পুরস্কার। ২০১৫ সালে পেয়েছেন ভারত গৌরব পুরস্কার। ২০১৯ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
দীর্ঘ ফুটবলজীবনের স্মৃতি অবশ্য আর কিছুই প্রায় অবশিষ্ট ছিল না। পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন হাবিব। ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল ফেলে আসা সবুজ মাঠের সব সোনালি স্মৃতিগুলো। কাউকে সেভাবে চিনতে পারতেন না। অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতেন। চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ছিলেন তিনি। ১৫ অগাস্ট বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ হায়দরাবাদে নিজের বাড়িতেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৭৪ বছরের মহম্মহ হাবিব।
আমাদের সবার প্রিয় ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা ফুটবলার মহম্মদ হাবিব। তাঁর প্রয়াণ ভারতীয় ফুটবলে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর পরিবার, পরিজন ও অসংখ্য অনুরাগীদের জানাই আমার আন্তরিক সমবেদনা।
আরও পড়ুন-মহামেডানকে আইএসএলে চান মুখ্যমন্ত্রী