দেবশ্রী মজুমদার নলহাটি: বৃহস্পতিবার নলহাটি ২ ব্লকের ভদ্রপুর ১ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পাড়ায় জনসংযোগ কর্মসূচি প্রকল্পে চলছে পাড়ায় সমাধান শিবির। তবুও শিবিরের কাছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন ব্লকের বিডিও রজতরঞ্জন দাস। বৃহস্পতিবার এক বাড়িতে ঢুকে মুখ্য মন্ত্রীর প্রকল্প পরিষেবা নিয়ে খোঁজখবর নিতে ঢুকতেই বিডিওর সামনে চলে আসেন অশীতিপর বৃদ্ধা শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিক স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। নিজের মাথা দেখিয়ে তিনি বলেন, এই পাকা চুলের বুড়ির কথা একটু শুনুন বাবা। পঞ্চায়েতকে বলুন না, বাড়ির সামনে পাড়া অন্ধকার থাকে। একটা লাইট হলে ভাল হয়। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছি। মেয়েরা শ্বশুরবাড়ি চলে যাওয়ার পর অন্ধকারে থাকি। বিডিও রজতরঞ্জন দাস বলেন, এর পর কাজ শুরু হলেই আপনার এখানে লাইটের ব্যাধবস্থা হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন-নজরে এবার নীতীশ, আপের পর ক্ষুব্ধ এবার জেডিইউ প্রধান
উল্লেখ্য, ভদ্রপুরের বিভিন্ন পাড়ায় স্কুলে ও উত্তর ভদ্রপুর অর্থাৎ মনিপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মসূচি। মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক উদ্যোগে দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধান শিবিরের অভুতপূর্ব সাফল্যের পর রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছানোর উদ্দেশ্য এই সমস্যা সমাধানে জনসংযোগ প্রকল্প চলছে বাংলা জুড়ে। ভদ্রপুরের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিডিও রজতবাবু ছাড়াও জয়েন্ট বিডিও বিধানরঞ্জন হাওলাদার। পরিদর্শনে গিয়ে হঠাৎ বাড়িতে বাড়িতে সমস্যা শুনতে হাজির হন বিডিও। সেখানে এক মহিলার বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেন তাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার পান কিনা। বাড়ির এক মহিলা বলেন বারবার আবেদন করেও হয়নি। তাঁর আধার কার্ড ও বয়সের প্রমাণপত্র দেখে বিডিও জানান, তাঁর এখনও বয়স অনুযায়ী পেতে এক বছর দেরি আছে। এক বছর পর নতুন করে ফের আবেদনপত্র ফিলাপ করলেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের পরিষেবা পাবেন। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বাড়ি গিয়ে সমস্যার কথা শুনে দু-একজনের সমস্যার সমাধানও সঙ্গে সঙ্গে করে দেন। তখনই ওই বয়স্ক মহিলা বিডিওকে কাছে পেয়ে বাড়ির সামনে আলো লাগিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন।