প্রতিবেদন : এসআইআর আতঙ্কে আত্মঘাতী বাবা। অসহায় পরিবার। কী করে হবে দিন গুজরান? ভিটেমাটি চলে যাবে না তো? এসব আতঙ্ক গ্রাস করেছে জলপাইগুড়ির খড়িয়ায় মৃত নরেন্দ্রনাথ রায়ের পরিবারকে। অসহায় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুক্রবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যায় মৃতের বাড়িতে। ওই দলে ছিলেন আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মহুয়া গোপ। শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-ছিঃ বিজেপি! বিহার দেখিয়ে হুমকি বাংলাকে, কড়া জবাব তৃণমূলের
মৃতের ছেলে ঠাকুরদাস রায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, দল সব সময় পাশে আছে। ইতিমধ্যেই আইএনটিটিইউসি’র ব্লক সভাপতিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রমশ্রী প্রকল্পে ঠাকুরদাসের নাম নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে। দ্রুত তাঁর কাজের ব্যবস্থা করা হবে। পাশে থাকার আশ্বাস পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছে শোকার্ত পরিবার। প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথ কলোনি এলাকার বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ রায় (৬০) এসআইআর আতঙ্কে আত্মঘাতী হন। তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়, ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় তাঁর নিজের নাম থাকলেও তাঁর স্ত্রী নাম ছিল না। এই আতঙ্কে আত্মঘাতী হন। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ায় দল। ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি এসে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পাশে থাকা আশ্বাস দেন। এই বিষয়ে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শোকার্ত পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাতে এসেছে প্রতিনিধি দল। এসআইআরকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্য জুড়ে যে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা শুনলাম মৃতের পরিবারের কাছে। তিনি মৃত্যুর আগে খুব আতঙ্কে ছিলেন, তাঁর পরিবারকে বারবার তিনি বলছিলেন যে আমাদের মনে হয় বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এটা সম্পূর্ণ বাংলাবিরোধী, বাংলার মানুষ-বিরোধী একটা ষড়যন্ত্র। আমরা নরেন্দ্রনাথের পরিবারের পাশে আছি এবং তাঁর ছেলের দ্রুত একটি কাজের ব্যবস্থা করা হবে।

