সংবাদদাতা, মালদহ : নাবালিকা অপহরণে অসামান্য সাফল্য পুলিশের। মালদহে একেবারে প্রকাশ্য দিবালোকে সাত বছরের শিশু কন্যাকে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। হরিশ্চন্দ্রপুর ও করণদিঘি থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের করণদিঘি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃত মনসুর আলম (৩০) ও এজাজ আহমেদের (৩২) কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা কার্তুজ ও নম্বরপ্লেটহীন একটি বাইক। ধৃতদের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের গাঙ্গনদিয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন-বার্ধক্যভাতায় থাকছে না আর আয়ের সীমারেখা, যথার্থ সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর
শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুরের সালালপুর গ্রামে বাড়ির সামনে খেলছিল আফরোজা খাতুন। হঠাৎই হেলমেট পরিহিত দুই যুবক বাইকে করে এসে ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায়। সাড়ে ১১টা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। সাংবাদিক সম্মেলন করে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, বিহার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রথমেই বিহার যাওয়ার সমস্ত রাস্তায় নাকাবন্দি করা হয়। ইসলামপুর এবং রায়গঞ্জ-সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির সমস্ত বড় রাস্তাতেও চলে চিরুনি তল্লাশি। রাস্তায় নামেন মালদহ, ইসলামপুর এবং রায়গঞ্জের প্রতিটি থানার পদস্থ অফিসাররা। দুপুরের দিকে নাবালিকার পরিবারের কাছে অপহরণকারীদের হুমকি ফোন আসে। সেই ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে বিকেল ৪টে নাগাদ করণদিঘির টুঙ্গিদিঘি ট্রাফিকের নাকা চেকিং পয়েন্টের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় দুই অপহরণকারী। উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকাকে নিয়ে ইটাহার, করণদিঘি, ডালখোলা হয়ে বিহারে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল অপহরণকারীদের। তারপর শিশুটির পরিবারের থেকে মোটা টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ছক কষেছিল তারা। কিন্তু অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে সেই মতলব বানচাল করেছে মালদহ এবং রায়গঞ্জের পুলিশ। ধৃতদের রবিবার চাঁচোল মহকুমা আদালতে তোলা হবে।