সংবাদদাতা, কাঁথি : গদ্দার ও কাঁথির বিজেপি প্রার্থী গদ্দারের ছোট ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা কুমারজিৎ সিনহাকে (Kumarjit Sinha) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কয়েক কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন টেকনো সিটি থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি কাঁথির কুমারপুরে। রাতে এই বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের কর্মসূচিতে ভুয়ো প্রতিষ্ঠান এবং ভুয়ো ছাত্রছাত্রীদের নাম নথিভুক্ত করে বৃত্তিবাবদ এক কোটির বেশি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। বিজেপির আরও বেশ কিছু বিধায়ক এবং প্রভাবশালী নেতা এর সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা পুলিশের। সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি থেকে গদ্দার অধিকারী, তাঁর ছোট ভাই-সহ অনেক বিজেপি নেতার সঙ্গেই ধৃতের ছবি পোস্ট করা আছে। যদিও ছবিগুলির সত্যতা জাগোবাংলা যাচাই করেনি। কুমারজিৎ গদ্দারের ছোট ভাইয়ের একাধিক প্রচার কর্মসূচিতেও উপস্থিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী কুশল বিকাশ যোজনা কেন্দ্রের দায়িত্বেও ছিল।
আরও পড়ুন-ইন্ডিয়া ৩১৫+, বিজেপি ১৯৫: বনগাঁর সভা থেকে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলনেত্রীর স্পষ্ট ঘোষণা
ভোটের মুখে এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে বিজেপি এবং অধিকারী অ্যান্ড কোং। তবে কুমারজিৎ দলের কোনও পদাধিকারী নন বলে দাবি বিজেপির। গত ২৬ এপ্রিল রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং বিভাগের জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং জয়েন্ট অ্যাপ্রেন্টিসশিপ অ্যাডভাইসর সুব্রতকুমার দাস কন্টাই পূর্ব সোশ্যাল অর্গানাইজেশন নামে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপের লিখিত অভিযোগ করায় টেকনোসিটি থানা তাকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কেন্দ্রের পোর্টাল অনুযায়ী, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের অধীনে ২৫,৬৮৬ জন শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। এর মধ্যে দুটি ক্ষেত্রে ১৯,৬৬৮ জনের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। যদিও রাজ্যের কাছে মাত্র ৯,৫৫১ জনের তথ্য রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় রাজ্য নড়েচড়ে বসে। ১৬ এপ্রিল থেকে তদন্তকারীরা কাজ শুরু করেন। ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৯টি প্রতিষ্ঠানে তাঁরা তদন্ত চালান। ওই সংস্থাগুলিতেই ৫,৯৬৩ জন শিক্ষানবিশের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই নেই। আবার কোথাও প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু শিক্ষানবিশের অস্তিত্ব নেই। কোথাও প্রতিষ্ঠানগুলির তথ্যের সঙ্গে সরকারি পোর্টালের তথ্যের মিল খুঁজে পাননি আধিকারিকেরা। তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দল বিজেপি। নীরব মোদি থেকে কাঁথির কুমারজিতেরা বারবার সেই প্রমাণ দিচ্ছেন। আর যে অধিকারীরা সবসময় অন্যদের চোর বলতে অভ্যস্ত তাঁরা এবার কী বলবেন? আসলে চোরের মায়ের বড় গলা।’