জয়নগরে পাঁচ ঘণ্টায় গ্রেফতার, আদালতে ফাঁসিই চাইবে পুলিশ

জয়নগরের মহিষমারির ঘটনার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে ধৃতের ফাঁসিই চাইবে পুলিশ।

Must read

প্রতিবেদন : জয়নগরের মহিষমারির ঘটনার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে ধৃতের ফাঁসিই চাইবে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বারুইপুর জেলার পুলিশ সুপার পলাশ ঢালি। তিনি বলেন, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কোনওরকম টালবাহানা করা হয়নি। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় নির্যাতিতার পরিবার ফাঁড়িতে আসেন। জিডি করে জয়নগর থানায় পাঠানো হয় তাঁদের। জিডির পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ জয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেয় পরিবার। রাত সাড়ে ১২টায় অপহরণের কেস রুজু হয়। রাত ২টোর সময় একজনকে আটক করা হয়। জেরায় সে স্বীকার করে ঘটনার কথা। রাত ২:৪০ মিনিট নাগাদ মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বাড়ির লোককে এই খবর জানিয়ে দেওয়া হয়। খুনের মামলা যুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন-জেলের আবাসিকদেরও উৎসবের ছোঁয়া, পাতে পড়ছে বিরিয়ানি-চিংড়ি

পুলিশ সুপার বলেন, প্রথম থেকেই পরিবারটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সব সময় পাশে থেকেছে পুলিশ। মৃতদেহ কাঁটাপুকুর মর্গে রাখা হয়েছে। আজ, রবিবার হবে ময়নাতদন্ত। সুপারের সংযোজন, এখনও পর্যন্ত একজনেরই ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা জানা গিয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আলাদা তদন্ত করছে পুলিশ। শুক্রবার টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথেই নিখোঁজ হয়ে যায় ১০ বছরের নাবালিকা। রাতে মৃতদেহ মিলতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে দল। তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য, দোষীর দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে ফাঁসির সাজা দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রাথমিকভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ না শোনার অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। এ-বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, জেলার পুলিশ সুপার-সহ বাকিরা দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করেছেন। ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। ফাঁড়ি থেকে থানায় ঘোরানোর যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যি হলে পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করব খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। তবে ঘটনার উত্তেজনায় গ্রামবাসীরা ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে ঠিক করেননি।

আরও পড়ুন-মহিষমারিতে কড়া পদক্ষেপ পুলিশের, গ্রেফতার অভিযুক্ত

কুণালের সংযোজন, পুলিশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাল কাজ করছে। কিন্তু কখনও কখনও নিচুতলার দু’একজনের জন্য সরকারের ঘাড়ে দায় চাপছে। তবে সিপিএম-বিজেপি ওখানে শকুনের রাজনীতি করতে গিয়েছে। বাম জমানায় এরকম খুন-ধর্ষণের ঘটনা একাধিক ঘটেছে। ডিসি (পোর্ট) বিনোদ মেহেতাকে কুপিয়ে মারা হয়েছে। আর বিজেপি রাজ্যগুলিতে তো পরপর ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে! ফলে গ্রামবাসীদের অনুরোধ করব, ওদের কথায় কান দেবেন না। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। শনিবার এলাকায় যান সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল এবং স্থানীয় বিধায়ক গণেশ মণ্ডল। ফাঁকা মাঠ থেকে উদ্ধার করা নাবালিকার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ১০ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত কুলতলির কৃপাখালি এলাকা। এদিন কাটাপুকুর মর্গে দেহ আনা হয় ময়নাতদন্তের জন্য। সেখানেও লাশের রাজনীতি করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধায় সিপিএম। পুজোর মরশুমে সরকারকে বিপাকে ফেলতে ক্রমাগত চক্রান্ত করে চলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু প্রশাসন দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে অভিযুক্ত যাতে দ্রুত সাজা পায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Latest article