প্রতিবেদন : সুপার সাইক্লোন ডানার দাপটে রাজ্যের আটটি জেলার বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ পরিযেবা সাময়িক ভাবে ব্যাহত হয়। এরপরই আসরে নামেন খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ওই আট জেলার বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে শুক্রবার বিদ্যুৎ ভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি। জানিয়ে দেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব জায়গায় পরিষেবা স্বাভাবিক করে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন-ছাত্রী খুনে অভিযুক্ত আন্দোলনের আশ্রয়ে, বিচার চেয়েও পাননি সেই নির্যাতিতার মাও
সর্বশেষ খবর, সংশ্লিষ্ট সব এলাকাতেই জোরকদমে মেরামতির কাজ চলছে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ জায়গাতেই পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। শীঘ্রই বাকি এলাকায় পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আটটি জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি হল, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর, ঘাটাল, গড়বেতা, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, কাঁথি, তমলুক, হাওড়ার বীরশিবপুর, কালীনগর, উলুবেড়িয়া, উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, কুলতলি, জয়নগর, সাগর, রাধানগর, বাঁকুড়ার খাতড়া, হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, ঝাড়গ্রামের বিনপুর। এদিনে বৈঠকে তিনি এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস একাধিক নির্দেশ দেন। তিনি স্পষ্ট জানান, জল কমার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করে ফেলতে হবে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা করতে হবে। আর বিদ্যুতের ছেঁড়া তার ও সরঞ্জামে যাতে কেউ হাত না দেয় তার জন্য মাইকিং করে ও এসএমএসের মাধ্যমে প্রচার চালাতে হবে। প্রয়োজনে বিদ্যুৎ দফতর ও সিইএসসি-র নির্দিষ্ট ফোন নম্বর অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে জানানোর জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ করেন তিনি। একই সঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার জন্য বিদ্যুৎ দফতরের ৮০ হাজার আধিকারিক ও কর্মীদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।