সংবাদদাতা, বারুইপুর : ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতি করেই যাদের দিন গুজরান হয়, সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে রক্তের হোলি খেলেই যাদের ক্ষমতায় আসতে হয়, সেই বিজেপির বাংলায় কোনও ঠাঁই নেই। ২০২১-এর নির্বাচন ও তার পরবর্তী অধ্যায়ে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে তা বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলার মানুষ। তাই বাংলায় প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রের সরকার। সেই সরকারকে সমূলে বিনাশ করার ডাক দিল তৃণমূল।
আরও পড়ুন-করণদিঘিতে গড়ে উঠছে ইকো ট্যুরিজম পার্ক
রবিবার বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে রাজনৈতিক কর্মিসম্মেলনে মন্ত্রী শশী পাঁজা, অরূপ বিশ্বাস-সহ তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা একযোগে গর্জে উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী প্রমূখ। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলার মানুষ বেছে নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রায় ৭৯টি সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে। যা বিপ্লব ঘটিয়েছে বাংলার জনজীবনে। বিজেপি বাংলার মানুষের জন্য কিছুই করেনি। বরং বাংলার ন্যায্য পাওনা আটকে দিয়ে বাংলাকে ভাতে মারতে চেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
আরও পড়ুন-পাকিস্তানকে ৪-০ তে উড়িয়ে দিল ভারত
মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, বাংলার বুকে সাম্যবাদকে প্রকৃত মর্যাদা দিয়েছেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সমাজকল্যাণ প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে আর্থিক বিকাশ ঘটিয়েছেন আমজনতার। আর্থিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে যাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন, বাম জমানায় বঞ্চনা, নিপীড়ন এবং শোষণের শিকার হয়েছেন, তাঁদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে তাঁদের স্বনির্ভরতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছেন। এই ভাবেই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমতা এনে একটা মডেল তৈরি করে দিয়েছেন তিনি।