কটক, ৯ ফেব্রুয়ারি : হিটম্যান ইজ ব্যাক! রবিবার বরাবটি স্টেডিয়ামে হাজির ক্রিকেটপ্রেমীরা সাক্ষী রইলেন রোহিত শর্মার ৩২তম ওডিআই সেঞ্চুরির। প্রায় আড়াই বছর পর একদিনের ক্রিকেটে একশো করলেন ভারত অধিনায়ক। তাঁর শেষ ওডিআই সেঞ্চুরি এসেছিল সেই ২০২৩ সালের অক্টোবরে। কোটলায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে।
টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই সময়টা ভাল কাটছিল না রোহিতের। নিউজিল্যান্ডের কাছে দেশের মাটিতে ০-৩ ব্যবধানে হারের লজ্জা। এরপর অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়া। দেশে ফিরে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জিতেও রান পাননি। ফলে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচিত হচ্ছিলেন। যদিও রবিবার ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন হিটম্যান।
আরও পড়ুন-বইমেলায় বেস্ট সেলার মুখ্যমন্ত্রীর বই, স্টল পেল সেরার সেরা পুরস্কার, জাগো বাংলার জয়জয়কার
ম্যাচের সেরার পুরস্কার হাতে তিনি বলে গেলেন, ‘‘দলের জন্য রান করতে পারে খুশি। ভাল লাগছে, ক্রিজে অনেকটা সময় কাটাতে পারে। সিরিজ জয়ের সুযোগ থাকায় এই ম্যাচের আলাদা গুরুত্ব ছিল।’’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই সিরিজ জয় যে ভারতীয় শিবিরে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে, সেটা মেনে নিয়ে রোহিতের বক্তব্য, ‘‘দল হিসাবে প্রতিদিন উন্নতি করতে চাই। আগের ম্যাচেও একই কথা বলেছিলাম। কোচ ও অধিনায়ক কী চাইছে, সেই সম্পর্কে যতক্ষণ দলের ক্রিকেটারদের পরিষ্কার ধারণা থাকবে, ততক্ষণ কোনও চিন্তা নেই।’’
নিজের ব্যাটিং নিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘নিজের ব্যাটিংকে কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলাম। এই ফরম্যাট টি-২০ থেকে বড় কিন্তু টেস্ট থেকে ছোট। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে হয়। চেয়েছিলাম পুরো ফোকাস ধরে রাখতে। যতটা সম্ভব বেশি সময় ক্রিজে কাটাতে চেয়েছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ব্যাটের মাঝখান দিয়ে শট খেলা গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডের বোলাররা আমার শরীর লক্ষ্য করে বল করছিল শুরুতে। শট খেলার জায়গা দিতে চাইছিল না। আমিও নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনায় কিছুটা বদল আনি। চেষ্টা করেছি, ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে বের করার। সফলও হয়েছি।’’ শুভমন গিলের প্রশংসা করে রোহিত বলেন, ‘‘গিল দুর্দান্ত ক্রিকেটার। কোনও পরিস্থিতিতেই চাপে পড়ে না। ওর সঙ্গে ব্যাটিং উপভোগ করি।’’