প্রতিবেদন : ভোট এলেই বিভাজনের চড়া রাজনীতি বিজেপির চেনা কৌশল। হিমাচল, গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে সেই কৌশলে শান দিতেই বিজেপি নেতাদের অস্ত্র এখন বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছিল, এবার সেই একই কথা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও। ভোটবাক্সে ফায়দা পেতেই ফের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগের বুলি আওড়ালেন নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে গুরুনানকের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সিএএ লাগু করার কথা বললেন আবার।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ভারত শিখদের নিজের ঘর। আর সেই কারণেই শিখ ও হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিতে আইন বানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও আইন এতদিনেও কেন লাগু করা গেল না, সেই ব্যর্থতা নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি মোদি। মোদির কথায়, দেশভাগের সময় আত্মত্যাগ করেছেন পাঞ্জাবের মানুষ। বিভাজনের হিন্দু ও শিখ পরিবারের জন্য আমরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করেছি। গুজরাতের কথা তুলে শিখদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মত, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার রোষ থেকে বিজেপিকে বাঁচাতেই যাবতীয় কৌশল। এর আগে মোরবির ভয়ঙ্কর সেতু দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া ধামাচাপা দিতে গুজরাতের দুই জেলা আনন্দ ও মহসেনায় নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা করেছিল বিজেপি সরকার। যদিও সেই ঘোষণা অনুযায়ী পুরনো নাগরিকত্ব আইনেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা।