সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : আসানসোলের তিন কন্যার আবার মিলল বড়সড় সাফল্য। কুলটির শাকতোড়িয়া এলাকার বাসিন্দা এই ট্রিপলেট গার্ল অর্থাৎ যমজ ৩ বোন সুচেতা চট্টোপাধ্যায়, সুপ্রীতা চট্টোপাধ্যায় ও রঞ্জিতা চট্টোপাধ্যায়। ১৫তম ওপেন ন্যাশনাল তাইকুন্ডতে এই তিন বোনের ঝুলিতে এল সোনার পদক। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে অনুষ্ঠিত এই জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা থেকে সদ্য সোনাজয়ী তিন বোন বাড়ি ফিরেছেন। তিন কন্যার এই অভূতপূর্ব সাফল্য পরিবারের সদস্যদের কাছে স্বপ্নের মতো। তিন কন্যার গর্বিত বাবা বামাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় জানান, মেয়েরা যে এত বড় সাফল্য পেয়েছে, তা এখনও ভাবতে পারছি না। ওদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রচুর ব্যয় বহনে তিন কন্যার ঠাকুরদা অনেকটাই সাহায্য করেছেন। বামাপ্রসাদবাবুর পিতা তাঁদের পৈত্রিক সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে প্রশিক্ষণের ব্যয়ভার বহন করেছেন।
আরও পড়ুন-পরিকাঠামোর উন্নয়নে নতুন করে বরাদ্দ ৪০ কোটি টাকা, ঢেলে সাজছে কাঁথির পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর
পাশাপাশি তিন মেয়ের এই সাফল্যে কোচ শুভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান বামাপ্রসাদবাবু। কোচ শুভবাবু জানান, তিন বোনের সাফল্যে তিনি ভীষণ খুশি। ওরা তিন বোনই প্রচুর পরিশ্রম করেছে। ওদের ছোট থেকে গাইড করেছি। সেইমতো তিনজনই নির্দিষ্ট সময় করে প্রতিদিন প্র্যাকটিস করেছে। প্রতিযোগিতায় জয়ের লক্ষ্য স্থির রেখেছে। তার ফলেই এবং অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়ে স্বর্ণপদক ছিনিয়ে এনেছে জাতীয় স্তরের মঞ্চ থেকে। তিন কন্যার মা জানিয়েছেন, তিনি চেয়েছিলেন তিন মেয়েকে আত্মরক্ষার উপায় শিখিয়ে রাখতে। সে সময় সৌভাগ্যবশত তিনি শিক্ষক শুভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পেয়ে যান। কিন্তু আত্মরক্ষার কৌশল শেখাটা যে তাদের একদিন এত বড় জাতীয় স্তরের মঞ্চে নিয়ে যাবে, প্রথমে বুঝতে পারিনি। তিন বোনের অদম্য ইচ্ছা, জেদ এই সাফল্য এনে দিয়েছে।