প্রতিবেদন : সিঙ্গাপুরের মাঠে কোনওরকমে ড্র করে মানরক্ষার পর ঘরের মাঠে ফিরতি লড়াইয়ে লজ্জার হারে এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার আশা শেষ ভারতের। কোচ হিসেবে দেশের মাঠে অভিষেক ম্যাচ ছিল খালিদ জামিলের। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেই বাজিমাত করতে চেয়েছিলেন খালিদ। কিন্তু প্রথমার্ধে ৪০ মিনিট সেই আগ্রাসন দেখিয়েও ম্যাচ জিততে ব্যর্থ। শুরুতে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের বিশ্বমানের গোলে এগিয়ে গিয়েও ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হল সুনীল ছেত্রীদের। টানা তিনবার এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ ছিল ভারতের কাছে। কিন্তু গত কয়েক বছরের থেকে এবার তুলনামূলকভাবে সহজ গ্রুপে থেকেও স্বপ্নভঙ্গ সুনীলদের। ছ’বছর পর এশিয়ান কাপে নেই ব্লু টাইগার্স।
আরও পড়ুন-মর্মান্তিক! রাজস্থানে হাইওয়েতে চলন্ত বাসে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ২০, জখম ১৬
ফিফা ক্রমতালিকায় ১৫৮ নম্বরে থাকা সিঙ্গাপুরকেও এখন হারাতে পারে না ভারত। ভারতীয় ফুটবল ক্রমশ পিছনে হাঁটছে। কোচ বদলেও সেই একই ছবি। অথচ, এদিনই গ্রুপের প্রথম ম্যাচ জিতে আশা বাঁচিয়ে রাখার সুবর্ণ সুযোগ ছিল খালিদের দলের সামনে। গোয়ার মাটিতে দর্শক সমর্থন নিয়ে শুরুটা খারাপ করেনি ভারতীয় দল। ১৪ মিনিটের মাথায় ছাংতের অসাধারণ একটি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্লু টাইগার্স। বক্সের বাইরে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে গোলার মতো সোয়ার্ভিং শটে জাল কাঁপিয়ে দেন ভারতীয় উইঙ্গার। প্রথমার্ধেই গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন লিস্টন কোলাসো। গোল মিস করেন ছাংতে, সুনীলরাও।
প্রধমার্ধটা দেখে বোঝা যায়নি, সুনীলরা এই ম্যাচ হারতে পারেন। কিন্তু রক্ষণ এবং ফাইনাল থার্ডের ব্যর্থতার মাশুল দিতে হল ভারতকে। বিরতির ঠিক আগেই ম্যাচে সমতা ফেরায় সিঙ্গাপুর। ৪৪ মিনিটে গোল করেন ইউ ইউং সং। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে যায় সিঙ্গাপুর। ভারতীয় ডিফেন্স তখন দাঁড়িয়ে যায়। ঠান্ডা মাথায় গোল করেন সং। কিন্তু এই গোলের আগে ভারতীয়রা একাধিক সুযোগ নষ্ট না করলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেও পারত।
দ্বিতীয়ার্ধে সুনীল, লিস্টনকে তুলে রহিম আলি, উদান্তদের নামিয়েছিলেন খালিদ। কিন্তু সেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি। ৫৮ মিনিটে সেই সংয়ের গোলেই ২-১ করে ফেলে সিঙ্গাপুর। শেষদিকে একাধিকবার অল আউট আক্রমণে গিয়েও কাজের কাজ করতে পারেনি খালিদের ছেলেরা। বাছাইপর্বে বাকি রইল আর মাত্র দু’টি ম্যাচ। ভারতের সংগ্রহ এখন চার ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট। বাকিদেরও বাকি দু’টি করে ম্যাচ।