প্রতিবেদন : জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার (Gyanvapi mosque case) সমীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল বারাণসী জেলা আদালত। গত বছরের ২১ জুলাই বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক হিন্দুপক্ষের আবেদন মেনে জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘সিল’ করা এলাকার বাইরে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সমীক্ষার অনুমতি দেন। এরপর গত ডিসেম্বরে আদালতে মুখবন্ধ খামে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার জন্য হিন্দুপক্ষের তরফে আবেদন করা হয়। সেই মামলার শুনানি পর্বের শেষে গত ৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণা স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছিলেন জেলা বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেস। বুধবার রায় ঘোষণা করে বিচারক জানান, জ্ঞানবাপী মসজিদে যে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা হয়েছিল তার রিপোর্ট হিন্দু এবং মুসলিম উভয় পক্ষকেই দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- মোদির সোলার প্যানেলের প্রতিশ্রুতি ‘জুমলা’, কটাক্ষ করলেন খাড়গে
পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ রিপোর্ট পেশ করার পরই হিন্দুত্ববাদী পক্ষের তরফে সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যখন এএসআই-কে সমীক্ষার অনুমতি দেয় তখন তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ (Gyanvapi mosque case) কমিটি। গত ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেন। ৪ অগাস্ট থেকে মসজিদ চত্বরের ‘সিল’ করা এলাকার বাইরে সমীক্ষার কাজ শুরু করে এএসআই-এর বিশেষজ্ঞ দল। আদালত ৫ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও এর আগে দু’দফায় আবেদন জানিয়ে সমীক্ষার সময়সীমা বাড়িয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেয় ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। বুধবার রায় ঘোষণায় দু’পক্ষকেই সমীক্ষার দেওয়ার কথা জানাল আদালত।