প্রতিবেদন : কংগ্রেসে থাকাকালীন তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সারদা কেলেঙ্কারিতেও তাঁদের দু’জনেরই নাম জড়ায়। তদন্ত থেকে বাঁচতে বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে এখন অসমের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma- subsidy controversy)। এবার তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফের বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ভরতুকি বাবদ ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের স্ত্রী রিনিকি ভুঁইয়া শর্মা (Riniki Bhuyan Sarma)। এর আগে জমি দুর্নীতি, পিপিই কিট কেলেঙ্কারি সহ একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফের নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে অসমের বিরোধীরা।
এবার মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন অসমের কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ। তিনি একটি নথি শেয়ার করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য কিসান সম্পদ প্রকল্প চালু করেছিলেন। কিন্তু অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma- subsidy controversy) নিজের স্ত্রীকে ক্রেডিট-লিঙ্কড ভরতুকির অংশ হিসেবে ১০ কোটি টাকা পাইয়ে দিতে তাঁর নিজের প্রভাব খাটিয়েছেন। কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি কি আসলে বিজেপিকে সমৃদ্ধ করার জন্যই? রিনিকির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর সংস্থা ‘কিসান সম্পদ’ প্রকল্পের অধীনে পেয়েছে এই ভরতুকি। এই একই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। সংবাদমাধ্যমের দাবি, রিনিকির সংস্থা প্রথমে বেআইনিভাবে প্রচুর কৃষিজমি কিনেছে। তারপর তাকে রাতারাতি শিল্পোদ্যোগী জমি হিসাবে চিহ্নিত করে ফেলেছে। সেই সংস্থাই ‘অ্যাগ্রো প্রসেসিং ক্লাস্টার’ নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় সাহায্যের আবেদন করে এবং ১০ কোটি টাকা পেয়েও যায়।
আরও পড়ুন- অক্টোবরের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে জোটের আসন সমঝোতা, সমন্বয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত
খোদ মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই হিমন্ত বিশ্বশর্মার ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পাল্টা তাঁর দাবি, আমার স্ত্রী যে কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত, সেই সংস্থার কেউই সরকারের থেকে কোনও আর্থিক ভরতুকি নেননি। কিন্তু হিমন্তের দাবি উড়িয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটের তথ্য উদ্ধৃত করে গগৈ বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইট স্পষ্ট ভাবে ব্যক্তিটির নাম এবং তিনি যে কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত তা বলা হয়েছে। ১০ কোটি সরকারি অনুদানও অনুমোদনের কথা জানানো হয়েছে। এরপরই কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা বলেন, ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে মনে করলে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাচ্ছেন না কেন?