প্রতিবেদন : বিজেপির আসল চরিত্র প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। বাংলায় কোনও প্রার্থী না পেয়ে বারাসত কেন্দ্রে এমন একজনকে প্রার্থী করেছে যে মাদক ব্যবসায়ী শুধু নয়, মাদক-সহ অসম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ১০ বছরের জেলও হয়। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তাঁর কাছে কি এই রেকর্ড নেই? নাকি মাদক পাচারকে আইনসিদ্ধ করতে এইসব ড্রাগ ব্যবসায়ীকে বিজেপির ছত্রছায়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে?
প্রশ্ন হল, কে এই স্বপন মজুমদার (Swapan majumdar)? সোমবার তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং তৃণমূল কাউন্সিলর ও মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী নিজেদের এক্স-হ্যান্ডেলে বিজেপির এই কীর্তি প্রকাশ্যে আনেন। তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের জুন মাসে স্বপন মজুমদার ড্রাগ-সহ গ্রেফতার হয় অসমের গুয়াহাটিতে। গ্রেফতার করে গুয়াহাটি-কামরূপ জিআরপি। মামলা নম্বর ১০৯/২০১৭। এফআইআর হয় ২১(সি) ধারায়। স্বপন গ্রেফতার হয় মাদক পাচারের অভিযোগে। ২০১৭ সালের ২০ জুন হেরোইন-সহ গ্রেফতার হয় স্বপন। পুলিশ তার কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকার মাদক পেয়েছিল। পুলিশের জেরায় স্বপন স্বীকার করেছিল ড্রাগ নিয়ে সে পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছিল পাচার করতে। শুনানি শেষে ৫ এপ্রিল ২০১৮ সালে স্বপনের ১০ বছরের জেল হয়। অভিযুক্ত এই বিজেপি নেতার স্থান হয় গুয়াহাটির কেন্দ্রীয় কারাগারে। বিজেপির হাতযশের কারণেই স্বপন পরবর্তী সময়ে জামিন পায় এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়। এফিডেভিটে স্বীকার করে নেয়, সে ছিল সাজাপ্রাপ্ত আসামি। মাদক পাচারের অভিযোগে ১০ বছরের জেল হয়েছিল। শুধু মাদক পাচারকারী বলেই স্বপন কুখ্যাত নয়, পঞ্চায়েত ভোটের সময় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এই স্বপনই বলেছিল শাসক দলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ দিয়ে এনকাউন্টার করাব! কুখ্যাত স্বপন মজুমদার এবার বারাসতের বিজেপি প্রার্থী। ড্রাগ মাফিয়া, হেরোইন পাচারকারী বিজেপির প্রার্থী। হেরোইন পাচারের অভিযোগে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং পুলিশি এনকাউন্টারে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের খুনের হুমকি দেওয়া মাদক ব্যবসায়ী বিজেপির প্রার্থী।
আরও পড়ুন- বায়োমেট্রিক ছাড়া আর জমি-বাড়ির রেজিস্ট্রেশন নয়, বেনিয়ম ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ
এই ঘটনায় ভারতীয় জনতা পার্টির আসল চরিত্রটা প্রকাশ্যে চলে এল। তৃণমূলের বনগাঁর প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস কটাক্ষ করে বলেছেন, এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। ওদের কাছে প্রার্থী নেই। তাই শেষ পর্যন্ত এক মাদক পাচারকারীকে প্রার্থী করেছে। বাংলায় বিজেপি যে আসলে দেউলিয়া তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া বিজেপির রাজনৈতিক চরিত্র। নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে খুন-সহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তারপরেও সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ডেপুটি পদে ছিল। নারদায় যাকে হাত পেতে কাগজে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল সেই ব্যক্তিই বিজেপি নেতা এবং দুর্ভগ্যক্রমে বাংলার বিরোধী দলনেতা। কৈলাস বিজয়বর্গীয় দিল্লি থেকে বিজেপির তরফে বাংলায় দায়িত্বে ছিল। তার বিরুদ্ধে সরকারি আধিকারিককে প্রকাশ্যে জুতো-মারা এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত থাকার অভিযোগ। তার সঙ্গে যুক্ত হল স্বপন মজুমদার (Swapan majumdar)। যার আসল পরিচয় মাদক পাচারকারী। বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিজেপি আর কত নিচে নামাবে?