বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: এবার আসামেও বদলাতে চলেছে রাজনৈতিক সমীকরণ। আলগা হচ্ছে বিজেপির জনভিত্তি। সংগঠনেও ধরছে ভাঙন। শক্তিশালী হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এবার খোদ বিজেপির জোটসঙ্গী দল গণসুরক্ষা পার্টির সাংসদের গলায় বেসুর। কোকড়াঝাড়ের সাংসদ হীরা সরনিয়া আলিপুরদুয়ারে এসে শুধু তৃণমূলে যোগ দেওয়া এবং আগামী লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেই আসামে লড়তে চান বলে ইঙ্গিত দিলেন। শুধু তাই নয়, একধাপ এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে আসাম-সহ উত্তর-পূর্বের প্রভূত উন্নয়ন হবে, এমন দাবিও করলেন। তাঁর বিশ্বাস, ২০২৩-এ ত্রিপুরায় তৃণমূলের সরকার গঠিত হবে।
আরও পড়ুন : বিজেপির হাতছাড়া বেলাড়ি পঞ্চায়েত
বুধবার, কোকড়াঝাড়ের গোসাইগাঁওয়ে আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনাসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলার সঙ্গে আসামের অনেক বিষয়ে মিল আছে। আসামে প্রায় ২৫ লাখ বাঙালি বাস করে, যাদের বিজেপি সরকার এনআরসি-র নামে চূড়ান্ত হেনস্থা করেছে।’
আরও পড়ুন কাবুলে আটকে দার্জিলিঙের ৩, ফেরাতে তৎপর প্রশাসন
তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’ সংসদীয় ক্ষেত্রের উন্নয়নের অর্থ আটকে রাখা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনাও করেন। যদিও তাঁর দল গণসুরক্ষা পার্টি এই মুহূর্তে বোরো স্বশাসিত পর্ষদে বিজেপির সহযোগী দল হিসেবে আছে। হীরা সরনিয়ার এই মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে আসামের রাজনীতিতে।