প্রতিবেদন : রেলমন্ত্রক বিজেপির (BJP)। নয়াদিল্লি (New Delhi) দেশের রাজধানী। দিল্লিতে এখন ক্ষমতায় বিজেপি সরকার। কিন্তু সরকারি অপদার্থতা কিছুতেই কমছে না। মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু, বারবার আগুন, জলভাত হয়ে যাওয়ার পর এবার কুম্ভগামী ট্রেন ধরতে গিয়ে নয়াদিল্লি স্টেশনে প্রবল ভিড়ে পদপিষ্ট। এর জেরে কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রায় ৩২ জন। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে বাড়ছে।
আরও পড়ুন-প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে এক সামান্য শ্রোতার অন্তিম অভিবাদন
শনিবার রাতে স্টেশনের ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল প্রয়াগরাজগামী একটি ট্রেন। বিপুল সংখ্যক যাত্রী জড়ো হন। স্বাধীনতা সেনানি এক্সপ্রেস ও ভূবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস দেরিতে চলছিল। ফলে ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। সেই সময় প্রয়াগরাজগামী ট্রেনটি স্টেশনে ঢুকলে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের এসকেলেটর এবং ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবল ভিড়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। যাত্রীরা পড়ে যান। অন্যরা পড়ে যাওয়া যাত্রীর উপর দিয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। এর ফলে চরম পরিণতির মুখোমুখি হন প্রয়াগরাজগামী যাত্রীরা। পুলিশ ও দমকল যখন এসে পৌঁছয় তখন ঘটনাস্থলেই ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলেও অধিকাংশ আশঙ্কাজনক। ফলে আজ রবিবারই হয়তো দেখা যাবে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ঘটনার পর যথারীতি রেলমন্ত্রী সবকিছু নিয়ন্ত্রণে জানিয়েছেন। কিন্তু এই মানুষগুলির মৃত্যুর কারণ রেলমন্ত্রকই তা সকলেই বুঝেছেন। রেলযাত্রা এখন মানুষের কাছে বিভীষিকার যাত্রা হয়ে উঠেছে। মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে কার্যত মৃত্যুমিছিল চলছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি- ডবল ইঞ্জিন সরকারের এটাই এখন বাস্তব চিত্র। আহতরা অনেকেই জানাচ্ছেন, রেলের ঘোষণার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।