মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) হেন্নুর এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতল হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে। শ্রমিকরা সেই সময় সেখানে কাজ করছিলো তাই তারা ধ্বংসস্তূপের নীচেই আটকে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনী এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে তিন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় আরও তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভিতরে আরও শ্রমিক আটকে রয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে অফিসিয়াল বিবৃতি দেওয়া হয় নি। নির্মীয়মাণ ওই বিল্ডিংয়ে টাইলসের কাজ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গোটা বিল্ডিং। শ্রমিকদের একাংশ মনে করছে বিল্ডিংটির বেসমেন্ট বা নীচের তলটি সঠিকভাবে তৈরি করা হয়নি। যার ফলেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে অল্প বৃষ্টিতে। প্রসঙ্গত বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির ফলে অনেক হ্রদ এখন বৃষ্টিতে উপচে পড়ছে। দক্ষিণ এলাকায় পাঁচটি হ্রদ, আরআর নগরে ছয়টি, ইয়েলাহাঙ্কায় ছয়টি, এবং দশরাহল্লিতে তিনটি হ্রদ ইতিমধ্যেই ভরাট।
আরও পড়ুন-হিমালয়ে নতুন প্রজাতির সাপ, অভিনেতার নামে নামকরণ
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিল্ডিংটি চতুর্থ তল পর্যন্ত নির্মাণের অনুমতি থাকলেও আইন অমান্য করে আরও কয়েকটি তল তৈরি করা হচ্ছিল। বৃষ্টির দাপটে ভার সামলাতে না পেরে এভাবে ভেঙে পড়ে বিল্ডিংটি। সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুরসভা। তবে প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে এত বড় কর্মকাণ্ড হয়ে গেল সেই নিয়ে প্রশ্ন করছেন এলাকাবাসীরা। প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজের উপরে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-সহায় স্বাস্থ্যসাথী, বিনামূল্যে দুর্গাপুরে সফল কিডনি প্রতিস্থাপন হল যুবকের
ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল ৪টের দিকে অঞ্জনাদ্রি লেআউট, হোরামাভু আগার, হেন্নুর কাছে। জানা গিয়েছে নিহতের একজনের নাম আরমান (২৬)। তিনি বিহারের বাসিন্দা। বাকিদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলছে। বিল্ডিংটির মালিক মুনি রেড্ডি এবং তার ছেলে মোহন রেড্ডি অন্ধ্র প্রদেশের মল্লেশ্বরমে বসবাসকারী। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে ঘটনা নিয়ে ফোন পায় দমকলবাহিনী। মনে করা হচ্ছে নির্মাণের মানও ছিল নিম্নমানের। এনডিআরএফ কর্মীরা এবং ডগ স্কোয়াড সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ এবং অগ্নি নির্বাপন বিভাগের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে ছিলেন। এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযানে তারা সহায়তা করেছিলেন।