। এই সংক্রান্ত এক){kind=link}
প্রতিবেদন: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের হামলায় ভারতীয় যুদ্ধবিমানের কোনও ক্ষতি হয়েছিল কি না তা নিয়ে শনিবার প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিলেন দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান (CDS Anil Chauhan)। এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিরক্ষা প্রধান (চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান গত ৭ মে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ চলাকালীন ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান ক্ষয়ের বিষয়টি এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন। সিঙ্গাপুরের শাংরি-লা ডায়ালগে অংশগ্রহণ করে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য জানান। যদিও এই প্রসঙ্গে ভারতের কতগুলি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল নির্দিষ্ট করে তা জানাননি জেনারেল চৌহান।
তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কেন এই বিমানগুলি ধ্বংস হয় এবং ঠিক কোথায় কী ভুল হয়েছিল তা বোঝা ও বিশ্লেষণ করা। সিডিএস বলেন, আমরা যেসব কৌশলগত ভুল করেছি, সেগুলি নির্দিষ্ট করে নিয়ে দ্রুত সংশোধন করেছি। দু’দিনের মধ্যে আমরা আমাদের সব বিমান পুনরায় আকাশে তুলেছি এবং দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে সাফল্যের সঙ্গে আঘাত হেনেছি।
আরও পড়ুন-কনকাশন সাব নিয়ম পরিবর্তন আইসিসির
ঘটনা হল, অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথমবারের মতো কোনও ভারতীয় শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ওই রাতে বিমানবাহিনীর ক্ষয় নিয়ে সরাসরি স্বীকারোক্তি দিলেন। এর আগে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি এবং বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এয়ার মার্শাল একে ভারতী যুদ্ধকালীন ক্ষয় নিয়ে মন্তব্য করলেও সুনির্দিষ্ট স্বীকৃতি দেননি। ভারতী বলেছিলেন, এটি একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং ক্ষয়ক্ষতি এমন পরিস্থিতির অংশ। এর পাশাপাশি জেনারেল চৌহান পাকিস্তানের একাধিক ভুয়ো দাবি (ছ’টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছিল পাকসেনা, যার মধ্যে তিনটি রাফাল) নস্যাৎ করেন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একই দাবি করেছিলেন এবং একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে রাফাল যুদ্ধবিমান ক্ষয়ের খবর প্রকাশিত হয়। এই প্রসঙ্গে জেনারেল চৌহান বলেন, অসংখ্য ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাত কখনওই পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়নি। বরং দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের পথ খোলা ছিল এবং উভয়পক্ষই সংঘাত নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছে। তাঁর এই বক্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাম্পের দাবি ছিল তিনিই মধ্যস্থতা করে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা রোধ করেছিলেন। সিডিএস জেনারেল চৌহানের এই বক্তব্য ভারতীয় সামরিক ও কূটনৈতিক মহলে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এদিকে সিঙ্গাপুরে জেনারেল চৌহানের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। দেশবাসীকে আগে না জানিয়ে বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে কেন একথা বলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ।