তিন বছর বয়সে বাবার ক্লাসে প্রতিকার হাতেখড়ি

প্রতিকার বাবা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে খেলেছেন। কিন্তু স্বপ্নপূরণ হয়নি পরিবার পাশে না থাকায়। পরে আম্পায়ারিংয়ে আসেন।

Must read

নবি মুম্বই, ২৪ অক্টোবর : গত বছর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল প্রতিকা রাওয়ালের। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই একটি সেঞ্চুরি ও সাতটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল দিল্লির ২৫ বছরের মেয়েটির নামের পাশে। এক ক্যালেন্ডার বছরেই ৫০-এর উপর গড়ে হাজারের উপর রান করে ওয়ান ডে-তে নজির গড়েছেন প্রতিকা। মনোবিজ্ঞানের ছাত্রীর রানের খিদে চমকে দিচ্ছে ক্রিকেট দুনিয়াকে। মেয়েদের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের মরণ-বাঁচন ম্যাচে স্মৃতি মান্ধানার সেঞ্চুরির পাশে প্রতিকার ১২২ রানের ইনিংসও ছিল অমূল্য। ম্যাচ জেতানো ২১২ রানের ওপেনিং জুটিই ভারতের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে। ম্যাচের পর মেয়ের উদ্দেশে বাবা প্রদীপ রাওয়ালের বার্তা, আরও সেঞ্চুরি চাই।

আরও পড়ুন-একটি ব্যর্থ পরিকল্পনা, ফেকু ফেকু কান্না, দীর্ঘশ্বাসের গুনগুন, হতাশার আলপনা

প্রতিকার বাবা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে খেলেছেন। কিন্তু স্বপ্নপূরণ হয়নি পরিবার পাশে না থাকায়। পরে আম্পায়ারিংয়ে আসেন। ডিডিসিএ-র লেভেল টু আম্পায়ার তিনি। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, প্রথম সন্তানকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলবেন। তাঁর মতো মেয়েকে কোনও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে দেবেন না। বিশ্বকাপে প্রতিকার প্রথম সেঞ্চুরি দেখে আপ্লুত বাবা। স্মৃতির স্মরণিতে হেঁটে প্রদীপ রাওয়াল বলছিলেন, প্রতিকার যখন ৩ বছর বয়স, তখনই ওর মধ্যে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখেছিলাম। ঠিক করি, শুরুতে ওকে ক্রিকেটের তালিম আমিই দেব। মেয়েকে ট্রেনিং করাই। আমি যে ম্যাচে আম্পায়ারিং করতাম সেখানে নিয়ে যেতাম। দেশের হয়ে বিশ্বকাপে ওকে সেঞ্চুরি করতে দেখে আমি গর্বিত। প্রতিকাকে বলেছি, আরও সেঞ্চুরি চাই তোমার কাছে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি করে প্রতিকা বলেছেন, টানা তিন হারের পরও নিজেদের উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। আমাদের দলে অসাধারণ খেলোয়াড়রা থাকায় যে কোনও ম্যাচ জিততে পারি। এর জন্য সবাই কঠোর পরিশ্রম করি। প্রতিটি ইনিংসের পিছনে মানসিক প্রস্তুতিও থাকে। যেভাবে এগোচ্ছি তাতে আমি খুশি।

Latest article