প্রতিবেদন: পরিবেশবিদদের অনুমান মিলে গেল হুবহু৷ পারা পতনের শুরুতেই দূষণের ধোঁয়াশায় ঢেকে গেল দিল্লির আকাশ৷ বুধবার সাত সকাল থেকেই দিল্লি এবং তার আশে পাশের এলাকা ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে যায়৷ এর জের সরাসরি গিয়ে পড়ে দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, যেখানে কম দৃশ্যমানতার কারণে বহু বিমানের ওঠানামায় ব্যাপক দেরি হয়৷ কয়েকটি বিমানকে দিল্লিতে নামার সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়নি, কম দৃশ্যমানতা থাকায়৷ এর মধ্যে ৬টি বিমানকে জয়পুর এবং একটি বিমানকে লখনৌ পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ বেশ কিছু বিমান বাতিলও করতে হয়৷ অন্তত ১০টি বিমান বাতিল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিমানের অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা যাত্রীরা শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দরের ভিতরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ দিল্লির পাশাপাশি গাজিয়াবাদ, নয়ডা, গুরুগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকাতেও ঘন ধোঁয়াশার চাদর বিছানো ছিল বুধবার সকাল থেকেই৷ এই ধোয়াশার জেরেই বুধবার দিল্লির বায়ুদূষণ সব থেকে খারাপ মাত্রায় গিয়ে ঠেকেছে৷ কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরা এদিন বায়ু দূষণ পরিমাপের জন্য দিল্লির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শেষে দাবি জানান যে এদিন দিল্লির সর্বত্র দূষণের মাত্রা ছিল অতি খারাপ স্তরের৷ মঙ্গলবার দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা বায়ু দূষণের মাত্রা ৩৪০-৩৫০-র আশে পাশে ঘোরাফেরা করছিল৷ বুধবার সকালে তা একলাফে ৩৭০ হয়ে গিয়েছে৷ ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত এদিন দূষণের হাল ছিল সব থেকে খারাপ৷
আরও পড়ুন-ঝাড়খণ্ডে বিধানসভার প্রথমদফা ভোট নির্বিঘ্নে
এসবের মাঝেই বুধবার সন্ধ্যেয় দিল্লির ২৪ ঘন্টার গড় বায়ুদূষণের মাত্রা মারাত্মক খারাপ হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ৷ তাদের দাবি, শেষ ২৪ ঘন্টায় দিল্লির গড় একিউআই ৪১৮, যা মারাত্মকভাবে খারাপ স্তরের অন্তর্ভুক্ত৷ আগামী দিন কয়েকের মধ্যে বৃষ্টি না হলে দিল্লির বায়ু দূষণের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা৷ দিল্লি লাগোয়া হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের কিছু এলাকায় ক্রমান্বয়ে খড় (পোড়ালি) জ্বালানোর ঘটনা যে হারে বেড়েছে এবার তার জেরেই দিল্লির বায়ু দূষণ এবার মাত্রা ছাড়াবে, দাবি করা হয়েছিল পরিবেশবিদদের তরফে৷ একই আশঙ্কা করেছিল সুপ্রিম কোর্টও৷ দুই তরফের আশঙ্কাই হুবহু মিলে গেছে বুধবার৷ এই আবহে দিল্লি ও কেন্দ্রীয় সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই এখন তাকিয়ে গোটা দেশ৷