নয়াদিল্লি : বিতর্কিত রাফাল যুদ্ধবিমান কেনাবেচায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর। কারণ, রাফাল নির্মাণকারী ফরাসি সংস্থা দাস্যুর ভারতীয় অংশীদার ছিল অনিল আম্বানির একটি সংস্থা। অভিযোগ ওঠে, রাফাল বিমানের বরাত পেতে ৬৫ কোটি টাকার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল কোনও মধ্যস্থতাকারীকে। এই কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্কের ঢেউ ওঠে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। মোদির জমানায় দিল্লির বিরুদ্ধে ওঠা সব কেলেঙ্কারির অভিযোগই ধামাচাপা পড়ে যায়। এটাই রেওয়াজে দাঁড়িয়েছে। চর্চার বিষয় ছিল, অনিল আম্বানির মোদি-ঘনিষ্ঠতাও।
আরও পড়ুন-কেন চাকরি, স্ত্রীর কবজি কাটল স্বামী
তারপর গঙ্গা-যমুনা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের অন্যতম ধনী অনিল আম্বানি ব্রিটেনের একটি আদালতে ঘোষণা করেন, তিনি দেউলিয়া। তাঁর হাতে থাকা সম্পত্তির মোট মূল্য শূন্য। ঠিক দু’বছর পর, ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভারতের আয়কর তদন্ত শাখার মুম্বই ইউনিট রিলায়েন্স (অনিল ধীরুভাই আম্বানি) গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে কালো টাকা আইনে চূড়ান্ত নোটিশ দিয়েছে। সেই কালো টাকার পরিমাণ ৮০০ কোটি টাকা! আয়কর দফতর বলছে, বাহামা এবং ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে তিনটি সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে ৮০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন-দেশে গৃহযুদ্ধ লাগাচ্ছে বিজেপি, দাবি লালুর
অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গোষ্ঠীকে প্রথম নোটিশ পাঠানো হয়েছিল ২০১৯ সালে। তদন্ত বলছে, একাধিক অফশোর কোম্পানি ও লুকানো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে হাতিয়ার করে অনিল আম্বানি বেআইনিভাবে কারবার চালিয়ে গিয়েছেন। প্যান্ডোরা পেপারস বা সুইস লিকস— সব স্বতন্ত্র তদন্তেই উঠে এসেছে অনিলের নাম। জিনিভার এইচএসবিসি ব্যাঙ্কে ২০০৬-০৭ সালে অনিলের অঘোষিত জমা টাকার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬৬ লক্ষ ডলার! প্রশ্ন উঠছে, নোটিশ জারি হলেও কাজের কাজ কিছু হবে কি! কারণ, বিজয় মাল্য, মেহুল চোকসি বা নীরব মোদিদের ঘটনা তো মানুষের স্মৃতিতে এখনও টাটকা।