প্রতিবেদন : স্বাধীনতার পর এই প্রথম নতুন নিজস্ব ভবন পেল পুরসভা। শুক্রবার পুরনো কেন্দ্রীয় পুর-ভবনের ঠিক সামনেই চ্যাপলিন স্কোয়্যারে এই নতুন ভবনের উদ্বোধন করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও চেয়ারপার্সন মালা রায়। এই জমিতেই ১৯০৭ সালে গড়ে উঠেছিল দেশের প্রথম বায়োস্কোপ থিয়েটার। প্রথম নাম ছিল এলফিনস্টোন পিকচার প্যালেস। পরবর্তীতে বারবার নাম বদলে এই প্রেক্ষাগৃহ একসময় হয়ে উঠেছিল ফিল্মপ্রিয় বাঙালির প্রধান আকর্ষণ। দেশের প্রথম প্রেক্ষাগৃহের এই জমিতেই তৈরি হয়েছে পুরসভার নতুন ভবন। জানা গিয়েছে, সমাজকল্যাণ, সড়ক ও বিদ্যুৎ বিভাগকে এই নয়া ভবনে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
১৯০৫ সালে শহরের সমস্ত দফতর বর্তমান পুরভবনে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসা হয়। তারপর থেকে গত একশো বছরের বেশি সময় ধরে এই লালবাড়িই কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবন হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন-কলকাতা থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চালানোর প্রস্তাব, এই অধিবেশনেই আসছে নতুন বিল
এবার তার উল্টোদিকের চ্যাপলিন স্কোয়্যারেই তৈরি হল কেএমসি’র নয়া ভবন। ১১৭ বছর আগে পুরসভার থেকে এই জমি লিজে নিয়ে দেশের প্রথম সিনেমা হলটি তৈরি করেন ফার্মজি জামশেদজি ম্যাডান। ১৯৫১ সালে এই প্রেক্ষাগৃহের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘মিনার্ভা’। তারপর ১৯৮৯ সালে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব চার্লি চ্যাপলিনের নামে প্রেক্ষাগৃহের নামকরণ করা হয় ‘চ্যাপলিন’। কিন্তু ১৯৯৫ সালে আর্থিক কারণে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় এই প্রেক্ষাগৃহ। ২০০৩ সালে তৎকালীন পুরবোর্ড এই জমিতে নতুন পুরভবন তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু করে। তারপর ২০১৬ সালে শিলান্যাস হয়। ২০১৯-২০ সালে শুরু হয় নির্মাণকাজ। পুরনো কেন্দ্রীয় ভবনের ব্রিটিশ আমলের স্থাপত্যের সঙ্গে মিল রেখেই নতুন বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। নাম রাখা হয়েছে ‘চ্যাপলিন ভবন’। রয়েছে বিরাট সবজে গম্বুজ। বেসমেন্ট-সহ ৬ তলা উচ্চতার গোটাটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট অফিস স্পেস রয়েছে এই নতুন ভবনে। বেসমেন্টে একসঙ্গে কয়েকশো গাড়ি রাখার জায়গা থাকলেও তা পার্কিং হিসেবে ব্যবহৃত হবে না।