মানস ভট্টাচার্য: না, পারল না এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan- Hyderabad FC)। তিন গোলের ব্যবধানে জিততে হত। কাজটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু একাধিক গোলের সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল মোহনবাগানকে। ফলে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্ব ১-০ গোলে জিতেও এবার আইএসএলের ফাইনাল খেলা হচ্ছে না রয় কৃষ্ণদের। কারণ, প্রথম পর্বের সেমিফাইনাল যে ১-৩ গোলে হেরে বসেছিল দল। তাই সেমিফাইনালের দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো আইএসএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল হায়দরাবাদ এফসি। স্বপ্নভঙ্গ সবুজ-মেরুনের। রয় কৃষ্ণ গোলটা করল ৭৯ মিনিটে। আরও আগে প্রথম গোল করে এগিয়ে যেতে পারলে ৯০ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকত।
আরও পড়ুন-বিশ্বরেকর্ড গড়েও সন্তুষ্ট নন ঝুলন
সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে বড় ব্যবধানে জিতে থাকার সুবিধা নিয়ে মাঠে নেমেছিল হায়দরাবাদ এফসি (ATK Mohun Bagan- Hyderabad FC)। ফলে ওরা শুরু থেকে রক্ষণ মজবুত রাখার চেষ্টা করেছে। মোহনবাগান শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। রয় কৃষ্ণর সঙ্গে কিয়ান নাসিরিকে ফরোয়ার্ডে রেখে ৩-৫-২ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিল মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। কৃষ্ণ, কিয়ানের পাশে দুই উইং ধের লিস্টন ও প্রবীর আক্রমণে সাহায্য করেছে। মাঝমাঠ, উইং ধরে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনলেও ম্যাচে অনেক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে মোহনবাগান। কৃষ্ণ, লিস্টনরা এত সুযোগ নষ্ট করলে ম্যাচ জিতবে কীভাবে! ফলে যত সময় গড়াল, চাপ আরও বাড়ল মোহনবাগানের উপর। তিন গোলের ব্যবধানে জিততে হবে–এই চাপটা তো শুরু থেকেই ছিল কৃষ্ণদের উপর। কিয়ান, কৃষ্ণ, লিস্টন, প্রবীররা ভাল খেলে সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পেল না। কৃষ্ণ তো সহজতম সুযোগ নষ্ট করল। তবু ওর গোলই শেষ দিকে আশা জাগাল। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।