তুহিনশুভ্র আগুয়ান, এগরা: অল্পমূল্যে স্বাদ ও গুণগত মানের দিক থেকে সুইট কর্ন বা ভুট্টার জুড়ি মেলা ভার। সেই সুইট কর্ন চাষ করে এবার আয়ের দিশা দেখছেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ১ ব্লকের মহাবিশ্রা গ্রামের চাষিরা। রাজ্যের আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি দফতরের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে ওই গ্রামের এক চাষি ২৫ ডেসিমেল জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সুইট কর্ন চাষ করেন। সেক্ষেত্রে খুব কম খরচে ভাল লাভ পেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, জেলার এগরা, ভগবানপুর-সহ বেশ কয়েকটি ব্লকের বাদাম ও ধান চাষের প্রচলন ছিল। সে ক্ষেত্রে লভ্যাংশ এর থেকে অনেকটাই কম পেতেন চাষিরা।
আরও পড়ুন-এনআইএ নয় কেন, প্রশ্ন তৃণমূলের, গুজরাতে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ১৭
এবছর এগরা ব্লক কৃষি দফতরের সহযোগিতায় বাদাম চাষ বন্ধ রেখে সুইট কর্ন চাষ শুরু করেন ৪-৫ জন চাষি। ব্লক কৃষি দফতরের তরফে বীজ ও যাবতীয় সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। তাতে প্রথমবারেই এই চাষে সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা। সুইট কর্ন বিক্রির পাশাপাশি গাছের অংশও বিক্রি হয় পশুখাদ্য হিসেবে। তাতেও ভাল দর পাওয়া যায়। তাই এগরা ব্লকে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ভুট্টাচাষি কেবলচন্দ্র মণ্ডল জানান, ‘গত বছর বাদাম চাষ করে যে লাভ পেয়েছি তার কয়েক গুণ বেশি সুইট কর্ন চাষ করে পেয়েছি।’ বর্তমানে শহরাঞ্চলে প্রোটিনযুক্ত সহজপাচ্য খাদ্য হিসেবে সুইট কর্ন বা ভুট্টার চাহিদা ব্যাপক। শপিং মলগুলিতেও বিক্রি হয়। সেক্ষেত্রে চাষিরা এর চাষ করে অল্প দিনে লাভবান হবেন বলে দাবি কৃষি আধিকারিকদের। গত বছর একই পরিমাণ জমিতে বাদাম চাষ করে যেখানে এক একজন চাষি লাভ করেন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, এ বছর সেখানে সুইট কর্নের চাষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ পেয়েছেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে এই চাষে তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। এগরা ১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা রিয়া সেন মণ্ডল জানান, ‘সুইট কর্নের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। তাই আমরা পরীক্ষামূলকভাবে এগরায় চাষিদের দিয়ে এর চাষ শুরু করাই। তাতে ভাল সাফল্যের মুখ দেখছেন তাঁরা। ফলে আগামী দিনে আরও অনেকেই এর চাষে আগ্রহী হবেন।’