প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গকে দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনা করে আসছে মোদি সরকার৷ মনরেগা প্রকল্পের আওতায় ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য ন্যায্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দরবার করেও কোনও ফল হয়নি৷ এরপরেও বাংলাবিরোধী মানসিকতা থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বঞ্চনার পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন-কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে
আগামী সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করতে পারে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অধীনস্থ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা৷ তৃতীয় মোদি সরকারের কার্যকালে এই প্রথম সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নামের তালিকা জানানো হবে৷ তার আগে কেন্দ্রীয় সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করেনি বলে শুক্রবার জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ এই প্রসঙ্গে তাঁর সাফ যুক্তি, এখন চার- পাঁচজন সাংসদ থাকা রাজনৈতিক দলও যদি সরকার-ঘনিষ্ঠ হয় তাহলে বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ পেয়ে যায়৷ বিজেপি সরকারের আমলে এটাই রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ রাজ্যসভা, লোকসভা মিলিয়ে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা ৪১৷ ডেরেক বলেন, এখন দেখতে হবে সরকারের তরফে আমাদের দলকে কোন কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হচ্ছে৷ আমরা কোনও পদের জন্য লালায়িত নই৷
আরও পড়ুন-ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া
উল্লেখ্য, গত মাসের ২৭ তারিখ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন একটি চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যসভার দলনেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জে পি নাড্ডাকে৷ কেন জুন মাসে সরকার গঠনের পরে তিনমাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অধীনস্থ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গঠন করা হয়নি? নাড্ডাকে লেখা চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ৷ অভিযোগ, তারপরেও মোদি সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় নেতাদের ডেকে পাঠিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ নিয়ে আলোচনার সৌজন্য দেখায়নি৷ এখানেই সরকারকে বিঁধছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ মোদি সরকারের আমলে সংসদীয় রীতিনীতি জলাঞ্জলি দিয়ে অসংসদীয় রীতিকেই প্রাধান্য দেওয়া রেওয়াজ হয়ে উঠেছে, দাবি করেছেন ডেরেক৷