প্রথমে তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অপচেষ্টা। এবার তালিকা থেকে ঘুর পথে নাম বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা বিজেপির। বাংলায় বিজেপির চূড়ান্ত শোচনীয় বুঝতে পেরে এবার নির্বাচন কমিশনকে হাতিয়ার করে নতুন খেলায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিহার নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে যেভাবে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করেছে, তা নিয়ে এবার দিল্লিতে সরব তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। তবে এভাবে বাংলার ভোটার তালিকায় কারচুপি যে সহজ হবে না তা স্পষ্ট করে দিলেন তিন তৃণমূল সাংসদ।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর কারচুপি ধরেছিলেন। এবারেও বিহার নির্বাচনের আগে তিনিই ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে কমিশনের কারচুপি নিয়ে প্রথম সরব। দলনেত্রীর সেই বার্তা নিয়ে এবার দিল্লিতে সরব রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাংসদ সাগরিকা ঘোষ ও সাংসদ সাকেত গোখলে। নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠকে সাগরিকা দাবি করেন, সামনেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই নতুন চক্রান্ত বিজেপির। এজেন্সিকে ব্যবহার করে ভোটার তালিকা বদলানোর অপচেষ্টা। সেই সঙ্গে যে বিএলও-দের তথ্য দাবি করেছে কমিশন, তার কোনও এক্তিয়ার নেই কমিশনের, স্পষ্ট করে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে।
আরও পড়ুন-তামিলনাড়ুতে ফের লাইনচ্যুত ট্রেন, রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
সাগরিকা ঘোষ আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সার্ভেতে বিজেপি বুঝে গিয়েছে ৪৬ থেকে ৪৮ আসন জিতবে তারা বাংলায়। হার নিশ্চিত বুঝে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহারের অপচেষ্টা। ঘুরপথে ভোটার তালিকা বিস্তারিত জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ভোটারের জন্ম সংশাপত্রের পাশাপাশি তার বাবা-মায়ের জন্ম শংসাপত্র দাবি করা হয়েছে। এটা বাতুলতা। তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দেয়, বিহার নির্বাচনের আগে কমিশন সংশোধনের নির্দেশিকা জারি করলেও আসল লক্ষ্য বাংলা। এই পদ্ধতিতে ভোটারদের ভোটদানের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা। স্পেশান ইনটেনসিভ রিভিশন একটি অত্যন্ত মারাত্মক ষড়যন্ত্র।
সেই সঙ্গে এপ্রিল মাসে কমিশনের প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে সাংসদ সাগরিকা দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যখন এপিক কার্ড ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছিলেন তখন তদন্ত হবে বলে জানিয়েছিল কমিশন। সেই কথা রাখেনি তারা। এপ্রিল থেকে দুমাসের বেশি সময় গড়িয়েছে। কমিশন তিন মাসের সময় দিয়েছিল। কোনও তদন্ত এগোয়নি।
কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দাবি করা হয়, কোন অধিকারে বিএলও দের তথ্য চাইছেন। তাহলে কী যে কারচুপি করতে চাইছেন তা আরও সহজ হবে এই তথ্যে, প্রশ্ন তৃণমূল নেতৃত্বের। একদিকে যেমন ভুয়ো ভোটার তৈরি করতে চাইছে কমিশন। তেমনই ভোটার তালিকা সংশোধন করে তালিকা বদলাতে চাইছে। আদতে ঘুর পথে এনআরসি করতে চাইছে কেন্দ্রের সরকার দিল্লিতে স্পষ্ট করে দেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।