প্রতিবেদন : এই হল বিজেপি! দলের শীর্ষনেতা বলছেন ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’। আর দু’থেকে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করছেন খোদ বিজেপি বিধায়ক। কল্যাণী এইমসের পর ফের রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আরও এক বিজেপি বিধায়ক। ইনি হলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। অভিযোগে বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, বিজেপি বিধায়ক মোটা টাকার বিনিময়ে অন্তত ১৭ জনকে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে সেন্ট্রাল পার্কিংয়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য, ঘোষণা অমর্ত্যর
এর মধ্যে বিধায়কের এক বোন ও এক শ্যালকও আছেন। প্রার্থী পিছু দু’থেকে আড়াই লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। অভিযোগের সপক্ষে একটি অডিও ক্লিপও প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। ওই অডিও ক্লিপে এক পুরুষ কণ্ঠকে বলতে শোনা গিয়েছে, এখানে টাকা ছাড়া কোনও কাজ হয় না। জবাবে ওই মহিলা তাঁকে টাকা দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন। এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি বিধায়ক নানা যুক্তি দিয়েছেন। কিন্তু যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁরাই অভিযোগ করার পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ফেঁসে গিয়েছেন বুঝে অশোক কীর্তনিয়া বলেছেন, প্রমাণ করতে পারলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন।
আরও পড়ুন-কাল রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কালাদিবস পালন
ওই অডিও ক্লিপে তিনি ছাড়াও বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নামও শোনা গিয়েছে বিধায়কের গলা বলে দাবি করা পুরুষ কণ্ঠে। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস অবশ্য নিজের অভিযোগে অনড়। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সকাল-সন্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলে গলা ফাটানো দলবদলু বিজেপি নেতারা এবার কী বলবেন? এবারও কি ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবেন, উঠছে প্রশ্ন।