ময়নাতদন্ত শেষ এইমসে, রিপোর্টে স্পষ্ট আত্মহত্যা

Must read

প্রতিবেদন : সিঙ্গুরের (Singur) নার্সিংহোমে আত্মহত্যাই করেছিলেন নার্সিং পড়ুয়া। কেন্দ্রীয় সরকারে নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালের ময়নাতদন্ত রিপোর্টেই সেই সত্যি উঠে এল। এবার কী বলবে বাম-বিজেপির শকুনে রাজনীতিকরা। যারা এতদিন কুৎসিত শকুনে রাজনীতি করছিল নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে, তাদের প্রকাশ্যে নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

পিএম রিপোর্ট বলছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নার্সিং পড়ুয়া। এ-প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম পুলিশ তদন্ত করছে। না, দাবি তোলা হল সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করতে হবে। রাম আর বাম কুৎসিতভাবে মৃতদেহ ছিনিয়ে নিতে মারমারি করেছে। তারপর ওদের কথাতেই কল্যাণী এইমসে ময়নাতদন্ত হল। সুইসাইডই করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালই প্রমাণ করে দিল এই সিপিএম-বিজেপি ও কংগ্রেসের একাংশ মিথ্যাবাদী। এরা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে। মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু যারা বলেছিল ধর্ষণ, খুন ইত্যাদি, তারা নাকে খত দিয়ে, প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাক।

আরও পড়ুন- অভিনয়ে সুযোগের নামে মডেলকে ধর্ষণ, অভিযোগ

গত ১৬ অগাস্ট কল্যাণীর এইমসে ময়নাতদন্ত করা হয় ওই ছাত্রীর। মৃতের পরিবারের দাবি মেনে এইমস-এ ময়নাতদন্ত হয়েছিল ৪ জন ফরেনসিকের সিনিয়র চিকিৎসক ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে, ভিডিওগ্রাফিও হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ‘অ্যান্টিমর্টেম হ্যাঙিং’ শব্দ উল্লেখ করা রয়েছে। উল্লেখ করা রয়েছে গলায় ফাঁস, আর তার জেরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যুর কথা। শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ও শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন মেলেনি। মেলেনি। পাশাপাশি ধৃত প্রেমিক রাধাগোবিন্দর মোবাইল ফোন খোঁজের চেষ্টা করছে সিঙ্গুর থানার পুলিশ। ঘটনার আগের দিনও প্রেমিক ও তাঁর বন্ধুর সঙ্গে একটি হোটেলে উঠেছিলেন ওই ছাত্রী। এই ঘটনায় নার্সিংহোমের মালিককেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

Latest article