প্রতিবেদন : শেষপর্যন্ত যদি পাকিস্তানের সংসদীয় কমিটি অনুমোদন দেয় তবে সেদেশে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হতে পারেন আয়েশা মালিক। হার্ভার্ড আইন স্কুলের স্নাতক আয়েশা বর্তমানে লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি পদে কর্মরত। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে তাঁর নাম সুপারিশ করেছিল জুডিশিয়াল কমিশন অফ পাকিস্তান বা জেসিপি। ওই কমিটির চার সদস্য আয়েশার পক্ষে ভোট দিলেও বাকি চার সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দেন। যে কারণে তখন পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে আয়েশার পদোন্নতি আটকে যায়।
আরও পড়ুন-সংক্রমণ লাগামছাড়া, বিশ্বজুড়ে এখনও অসচেতন বহু মানুষ
এরপর এ সপ্তাহে হওয়া জেসিপির পরবর্তী বৈঠকেও ফের পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে আয়েশার নাম সুপারিশ করা হয়। এবার অবশ্য কমিটির বেশির ভাগ সদস্যই আয়েশার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। পাকিস্তানের নিয়ম হল, জেসিপির সুপারিশ সংসদীয় কমিটির কাছে যাবে। সংসদীয় কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সাধারণত সংসদীয় কমিটি জেসিপির সুপারিশ মেনে নেয়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসাবে আয়েশার নিয়োগ শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। জেসিপির সিদ্ধান্তে সংসদীয় কমিটি অনুমোদন দিলে পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে কাজ করবেন আয়েশা। শেষপর্যন্ত তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হলে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত। অবসরের আগে তিনি হবেন পাক সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে প্রবীণ বিচারপতি। সেক্ষেত্রে আয়েশা হতে পারেন পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতিও।
আরও পড়ুন-পড়ুয়াবন্ধু পুলিশের অভিনব ‘কৌশিশ’ নিখরচায় পরীক্ষা প্রস্তুতি–তালিম
তবে যথারীতি পাকিস্তানের মতো দেশে আয়েশার এই নিয়োগ নিয়ে মৌলবাদীদের মধ্যে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পাক সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফ আফ্রিদি জেসিপির এই সুপারিশের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আফ্রিদি বলেছেন, সংসদীয় কমিটি যদি জেসিপির সিদ্ধান্তে সায় দিয়ে আয়েশাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করে তবে তাঁরা দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দেবেন।