প্রতিবেদন : আয়ুর্বেদিক বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা কখনওই অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের সমান বেতন পেতে পারেন না, স্পষ্টভাবে এই কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১২ সালে গুজরাত হাইকোর্ট অ্যালোপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক অর্থাৎ অন্যান্য বিকল্প ধারার চিকিৎসকদের সমবেতনের নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছিল একটি মামলা। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন-দেশের ৪৮টি নিত্যব্যবহার্য ওষুধের গুণমান খারাপ
বুধবার বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অ্যালোপ্যাথ এবং হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকদের কখনওই সমবেতন হতে পারে না। কারণ তাঁদের কাজের ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকরা যেসব পরিষেবা দিয়ে থাকেন, যেটা বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসকদের সব সময় জরুরি পরিষেবা দিতে হয়। তাঁদের ট্রমা কেয়ারে, অপারেশন থিয়েটারে জরুরি পরিষেবা দিতে হয়। হোমিওপ্যাথ বা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এ ধরনের পরিষেবা দিতে পারেন না। আবার ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রেও শুধু অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসকরাই কাজ করেন। তাই হোমিওপ্যাথিক, আয়ুর্বেদিক এবং অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের বেতন কখনওই সমান হতে পারে না।
আরও পড়ুন-শিক্ষার মানোন্নয়নে উৎকর্ষ হাব
একই সঙ্গে দেশে বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি করার কথাও বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, চিকিৎসা পদ্ধতির ইতিহাসে প্রতিটি বিকল্পই গর্বের সঙ্গে বিরাজ করতে পারে। মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে আমাদের বিকল্প চিকিৎসাপদ্ধতিগুলিকে আরও উৎসাহ জোগাতে হবে।