প্রতিবেদন : অঙ্কিতা অধিকারীর পরে ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। নিয়োগে অনিয়মের প্রশ্নে মঙ্গলবার বাতিল হল ববিতারও (Babita Sarkar) চাকরি। বাতিল করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁরই নির্দেশে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল হয়ে সেই চাকরি দেওয়া হয়েছিল ববিতাকে। অঙ্কিতার বেতনবাবদ পাওয়া ১৬ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছিল ববিতাকে। এবারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়েরই নির্দেশে চাকরি পাচ্ছেন অনামিকা রায়। ৩ সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অঙ্কিতার কাছ থেকে পাওয়া ১৬ লাখ টাকা ববিতাকে আদালতের নির্দেশে তুলে দিতে হবে অনামিকার হাতে। এদিনই তাঁর আগের নির্দেশ সংশোধন করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ৩৬ হাজার নয়, প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় প্রশিক্ষণহীন চাকরিচ্যুতর সংখ্যাটা প্রায় ৩২ হাজার। অর্থাৎ একইদিনে দু’টি সংশোধন। এসএসসি নিয়োগ মামলায় অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল আদালত। শিক্ষিকাপদে তাঁর নিয়োগের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলেন ববিতা সরকার। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে আদালতে জয় পেয়েছিলেন ববিতা। কিন্তু তারপরে তাঁর নিয়োগের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান অনামিকা রায়। প্রশ্ন তোলেন ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর নিয়ে। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার ববিতার চাকরি বাতিল করা হয়েছে বলে জানায় আদালত। আদালতের নির্দেশ প্রথম কিস্তির ১১ লক্ষ টাকা ১৯ মে-র মধ্যেই হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে হবে ববিতাকে। এই নির্দেশে স্পষ্টতই হতাশ তিনি। তাঁর বক্তব্য, ইতিমধ্যেই ওই টাকায় একটি গাড়ি কিনে ফেলেছেন তিনি। তাই ওই সময়ের মধ্যে টাকা ফেরাবেন কীভাবে— দুর্ভাবনা তাই নিয়ে। এদিকে আদালত এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা জানিয়েও এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বিচারপতির নাম না করে তাঁর মন্তব্য, একটা ভুল সংশোধন করতে গিয়ে আরও ভুল হচ্ছে। যিনি তখন তড়িঘড়ি করে ববিতাকে চাকরি আর টাকাটা পাইয়ে দিয়েছিলেন এখন আপাতত তিনিই অনামিকাকে টাকাটা দিয়ে দিন। পরে না হয় ববিতা তাঁর বাড়িতে গিয়ে টাকাটা দিয়ে আসবেন। আসলে ন্যায়বিচার এবং তড়িঘড়ি হিরো সাজতে যাওয়ার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। ছেলেমানুষির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে গোটা বিষয়টা। সরকারকে কলঙ্কিত করার জন্য এত তড়িঘড়ি করার কী দরকার?
আরও পড়ুন: নেত্রীর ফোন অভিষেককে, বিশ্রাম নাও