ফের খারাপ আবহাওয়া, বন্ধ উদ্ধারকাজ

বন্ধ হয়ে গেল উদ্ধারকাজ। কপ্টারের সাহায্যে উত্তর সিকিমের লাচেন ও ছাতেনে চলছিল আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারকাজ।

Must read

সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: ফের আবহাওয়া খারাপ উত্তর সিকিমে। বন্ধ হয়ে গেল উদ্ধারকাজ। কপ্টারের সাহায্যে উত্তর সিকিমের লাচেন ও ছাতেনে চলছিল আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারকাজ। মঙ্গলবার সকালে দুটি কপ্টারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। প্রথম ধাপে ছাতেন থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৪ জনকে। এর মধ্যে ২৭ জন পর্যটক। বাকিরা ধসে জখম ভারতীয় সেনা জওয়ান ও তাঁদের পরিবারের সদস্য।

আরও পড়ুন-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ক্রান্তি ব্লক, দুর্গতদের ত্রাণ পৌঁছে দিল তৃণমূল কংগ্রেস

প্রশাসন সূত্রে খবর, লাচেনে ১১৩ জন এবং ছাতেনে ৪০ জন পর্যটক আটকে আছেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া ভাল হলে ফের কপ্টারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানোর চেষ্টা হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। ধস-বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের ছাতেন এলাকা থেকে এমআই ১৭ ভি-৫ দুটি কপ্টারে করে তাঁদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে পাকিয়ং গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরে দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার অবতরণ করে। তাতে এনডিআরএফের ২৩ জন সদস্য ছিলেন। তাঁদের কাছে স্যাটেলাইট ফোন ও জরুরি সরঞ্জাম রয়েছে। মূলত উত্তর সিকিমে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্যই পুলিশ, সেনাবাহিনীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দিল্লি থেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। উদ্ধারকাজ শুরু হলেও খারাপ আবহাওয়ার জন্য মাঝপথেই থেমে যায় সেই প্রক্রিয়া। এদিকে উত্তর সিকিমে এখনও বহু রাস্তা ধসে অবরুদ্ধ। মঙ্গন থেকে চুংথাং ভায়া সংকালান রোড বন্ধ। চুংথাং থেকে লাচেনের পথে একাধিক জায়গায় ধসে রাস্তা বন্ধ। লাচুং থেকে ইয়ুমথাং রোড বন্ধ। মঙ্গন থেকে গ্যাংটক ভায়া ফুডুং রোডে শুধুমাত্র হালকা যানবাহন চলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে মঙ্গন থেকে চুংথাং ভায়া ফিদাং রোডেও কোনও ভারী গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে, উত্তরের একাধিক জেলা ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। তিস্তা বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। নদী সংলগ্ন এলাকাগুলিতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।

Latest article