প্রতিবেদন: আইনের সাধারণ নীতি অনুসারে, জামিন হল নিয়ম এবং জেল হল ব্যতিক্রম। এমনকী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) অধীনে চলতে থাকা মামলার ক্ষেত্রেও এই নীতি প্রযোজ্য। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের কথিত সহযোগী প্রেম প্রকাশকে জামিন দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট বুধবার এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে। চলতি পরিস্থিতিতে যে আইনের অপব্যবহারে ইডিকে ব্যবহার করে দেশের বিরোধী নেতানেত্রীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠছে বারবার, সেখানে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন-বাইডেনকে দুষলেন মার্ক জাকারবার্গ
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের একটি বেঞ্চ বলেছে, আইনের ধারা ৪৫ জামিনের জন্য দুটি শর্ত দেয়। ব্যক্তির স্বাধীনতা সর্বদা নিয়ম। এক্ষেত্রে বঞ্চনা হলে তা আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ব্যতিক্রম। পিএমএলএ -এর অধীনে জামিনের জন্য কঠোর শর্ত এই নীতিকেই অগ্রাহ্য করে। এদিন আদালত তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়ার জামিন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, মণীশ সিসোদিয়ার রায়ের উপর নির্ভর করে আমরা বলেছি যে পিএমএলএ-তেও জামিন একটি নিয়ম এবং জেল হল ব্যতিক্রম। আইনের ৪৫ ধারা যা নির্দিষ্ট করে তা হল জামিনের জন্য শর্ত পূরণ করা। ব্যক্তির স্বাধীনতা সর্বদা সবক্ষেত্রে নিয়ম।
আরও পড়ুন-সংসদীয় কমিটি পুনর্গঠন করতে চিঠি ডেরেকের
প্রাসঙ্গিকভাবে, আদালত আরও বলেছে যে পিএমএলএ অভিযুক্তদের দ্বারা তদন্তকারী অফিসে করা স্বীকারোক্তিগুলি সাধারণত প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের ২৫ ধারার অধীনে এই ধরনের স্বীকারোক্তির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রযোজ্য হবে।সাক্ষ্য আইনের ধারা ২৫ প্রযোজ্য হবে কিনা তা পিএমএলএ-তে কেস টু কেস ভিত্তিতে তা দেখতে হবে।