জল্পনা অনেকদিন ধরেই চলছিল। অবশেষে শুক্রবার হাওড়া কর্পোরেশন থেকে আলাদা করার প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল বিধানসভায়। এদিন পুর ও নগরোয়ন মন্ত্রী চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য বিধানসভায় এই সংক্রান্ত প্রস্তাব এনে জানান দীর্ঘ দিন ধরেই ওখানকার মানুষ তাদের কাছে আবেদন করছিলেন। বিভিন্ন কাজে অসুবিধে হচ্ছিল। বালির ভৌগোলিক কারণও এর অন্যতম কারণ। সামান্য কাজের জন্যও বালির মানুষকে হাওড়ায় ছুটতে হয়। বালি পুরসভা হিসেবে আলাদা হলে সাধারণ মানুষের অনেক সুরাহা হবে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে হল। এই প্রস্তাবের পক্ষে বলেন বিধায়ক অপূর্ব সরকার ও বালির বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-এরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে দেশটাকে!
আইনি বৈধতা দিতে বিধানসভার এই অধিবেশনেই দ্য হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (আমেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২১ আনছে সরকার। ১৭ নভেম্বর বিধানসভায় বিলটি পেশ হবে। এখন হাওড়া কর্পোরেশনে মোট ৬৬ টি ওয়ার্ড রয়েছে। আলাদা হওয়ার পর বালি পুরসভায় থাকবে ১৬ টি ওয়ার্ড। আর হাওড়া কর্পোরেশনের সঙ্গে থাকছে ৫০ টি ওয়ার্ড। সরকারের মতে এতে দুজায়গাতেই পরিষেবার ক্ষেত্রে সুবিধে হবে।
আরও পড়ুন-Shrabanti Issue: শ্রাবন্তীর দল ছাড়া নিয়ে আর্থিক লেনদেনের নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ
মন্ত্রী চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য পরে জানিয়েছেন, বালি ১৩৮ বছরের পুরনো একটি পুরসভা। এর চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যও আলাদা। সরকার দেখেছে পরিষেবা দিতে গিয়ে অনেকরকম অসুবিধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।