সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় : ‘‘এলাকার মানুষের পরামর্শ নিয়েই বালির উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি হবে। বালি তার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেই আলাদা পুরসভা হিসেবে এগিয়ে যাবে। বালির প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে আরও উন্নত মানের পুর পরিষেবা। এক্ষেত্রে এলাকার মানুষের পরামর্শ নেওয়া হবে। বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তাঁদের পরামর্শ নিয়ে চলবে বালির উন্নয়নমূলক যাবতীয় কাজকর্ম। শনিবার থেকে কার্যত তারই সূচনা হয়ে গেল।’’
আরও পড়ুন-উন্নয়নের প্রচারে কাকলি
দেশবন্ধু ক্লাবের মাঠে বালি তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই বার্তাই দিলেন সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এলাকার কিছু বিশিষ্টজনকে সংবর্ধনা জানানো হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বলাই দে, নবি হোসেন খান, বিখ্যাত টপ্পা শিল্পী চণ্ডীদাস মাল, সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার জয়ী বারিদবরণ ঘোষ ও রাজ্যের প্রাক্তন অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার উন্নয়ন ও পরিষেবার মান বাড়াতে দলের তরফে তাঁদের কাছে পরামর্শও নেওয়া হয়। অনেকে বালির কেদারনাথ আরোগ্য নিকেতনের পরিকাঠামো উন্নতি-সহ এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করেন।
আরও পড়ুন-আরও ২০ হাজার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বছর শেষে
এলাকার বিশিষ্টজনদের ওইসব প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় জানান। অনুষ্ঠানে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, এলাকার বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূলের হাওড়া সদরের সভাপতি ও বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, গৌতম চৌধুরি, নন্দিতা চৌধুরি, যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কৈলাস মিশ্র, আইএনটিটিইউসির হাওড়া সদরের সভাপতি প্রাণকৃষ্ণ মজুমদার-সহ আরও অনেকে। সম্প্রতি হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে বালির বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-জুটমিল খুলতে উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস
এলাকায় নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার কাজে আরও গতি আনতে দিনরাত কাজ করে চলেছেন তিনি। ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা আমাকে কাজের ক্ষেত্রে আরও অনুপ্রাণিত করবে।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘এলাকার উন্নয়নে বালির প্রবীণ মানুষদেরও পরামর্শ নেওয়া হবে।’’ উল্লেখ্য, বালিতে নাগরিক পরিষেবার মান আরও বাড়ানোর লক্ষ্যেই হাওড়া কর্পোরেশন থেকে বালিকে আলাদা করা হয়েছে। এই এলাকার ১৬টি ওয়ার্ডকে বাড়িয়ে ৩৫টি করা হয়েছে পুর পরিষেবা আরও উন্নত করতেই। এবার সেই কাজে স্থানীয় বিশিষ্ট মানুষদেরও পরামর্শ নিয়ে চলতে চাইছেন স্থানীয় বিধায়ক।