তুহিনশুভ্র আগুয়ান, মহিষাদল: আকাশে-বাতাসে ফাগুনের হিল্লোল। শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়ারা মেলে ধরেছে রঙিন পাখনা। পাতা ঝরা গাছের ডালে কোকিলের কুহুতান জানান দিচ্ছে সামনেই হোলি। লাল-হলুদ-সবুজ আবিরে একে অপরকে রাঙিয়ে তোলার দিন। হোলি মানেই প্রথমেই উঠে আসে শান্তিনিকেতনের নাম। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বভারতীর বসন্তোৎসবে সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ঘরোয়াভাবেই পালন হয় বিশ্বভারতীর বসন্তোৎসব।
আরও পড়ুন-এলাকায় ক্রমে জমি হারাচ্ছে রাম-বামেরা, ভগবানপুরে সমবায়ে ৪৪-৭-এ জয়ী তৃণমূল
এদিকে রবিবার বন দফতরের তরফে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরিতে বসন্তোৎসবেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তাই হোলিতে শান্তিনিকেতনের ছোঁয়া পেতে নয়া ডেস্টিনেশন হতে পারে মহিষাদল রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জ। মহিষাদল প্রেস কর্নারের তরফে আয়োজিত এই উৎসব এবছর ১৬তম বর্ষে পড়তে চলেছে। রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী আমবাগানের মাঝে আট থেকে আশি মেতে ওঠেন এই উৎসবে। নাচে-গানে মাতোয়ারা হয় গোটা এলাকা। যাকে অনেকেই নাম দিয়েছেন দ্বিতীয় শান্তিনিকেতন। আগামী ১৪ মার্চ মহিষাদলের এই বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতি এখন জোরকদমে। ২ মার্চ হয়ে গিয়েছে খুঁটিপুজো। প্রতি বছর বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ভিড় জমান এই বসন্তোৎসবে। সকালে বৈতালিকের মাধ্যমে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের। এরপর কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে নাচ-গানে অংশ নেন শিল্পীরা। এ বছর ২৪টি নাচ, গান ও কবিতার দল অংশ নেবে। থাকছেন প্রায় তিনশোর বেশি শিল্পী। সন্ধ্যায় গুণিজন সংবর্ধনা ও লোকগান। এই উৎসবে সংগঠনের তরফে ভেষজ আবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে শান্তিনিকেতনে সাধারণের প্রবেশাধিকার না থাকলেও মহিষাদলের এই বসন্তোৎসবে সকলে ফিরে পাবেন একটুকরো শান্তিনিকেতন। প্রেস কর্নারের সম্পাদক ভোলানাথ বিজলি ও সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী জানান, লক্ষাধিক মানুষ এই উৎসবে আসেন। এবার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। তিনটি প্রবেশদ্বার হয়েছে। এছাড়াও একটি অস্থায়ী সেতু তৈরি হয়েছে।