প্রতিবেদন: ‘বাংলার পুষ্টি ও বাংলার সৃষ্টি’-কে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চলতি মাসের শেষেই যাত্রা শুরু করছে রাজ্য সরকারের নিজস্ব সংস্থা ‘বাংলা ডেয়ারি’। বৃহস্পতিবার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দেন আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করবে ‘বাংলা ডেয়ারি’। এর মাধ্যমেই এবার দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার উৎপাদন শিল্পে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করছে রাজ্য। চলতি বছরের আগস্টেই এ সংক্রান্ত ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : আয় বাড়াতে আরও ছ’টি সংস্থার বেসরকারিকরণ করতে চায় কেন্দ্র, জানুয়ারিতেই বাজারে আসছে এলআইসির শেয়ার
তিনি বলেছিলেন, রাজ্যের দুগ্ধশিল্পকে চাঙ্গা করতে মাদার ডেয়ারি, মেট্রো ডেয়ারির পর সম্পূর্ণরূপে সরকারি উদ্যোগে দুগ্ধজাত পণ্যের নতুন সংস্থা চালু করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য। যার নাম হবে ‘বাংলা ডেয়ারি’। কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ‘বাংলা ডেয়ারি’র প্রাথমিক পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অন্যদের উপর নির্ভরতা কমিয়ে খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনে রাজ্যকে স্বাবলম্বী করার কাজটা শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুগ্ধশিল্পকেও নিজের পায়ে দাঁড় করাতে কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার। সেই ভাবনারই ফসল হল এই ‘বাংলা ডেয়ারি’। জানা গিয়েছে, সংস্থার ‘বাংলা ডেয়ারি’-র ৫১২টি আউটলেট চালু হবে। শহর কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনায় পাওয়া যাবে বাংলা ডেয়ারি’-র নিজস্ব দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার। খোলা দুধের পাশাপাশি প্যাকেটজাত দুধও মিলবে। এর পাশাপাশি পনির, পেঁড়া, ঘি, মাখন, ঘোল, দইয়ের সম্ভারও থাকবে বাংলা ডেয়ারির ভাঁড়ারে। তবে মাদার ডেয়ারির মতো অন্য ডেয়ারিগুলোর সঙ্গে দামের খুব একটা ফারাক থাকবে না। একটি পেশাদার সংস্থাকে এর প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারের আশা, বাংলার ডেয়ারি পুরোদমে চালু হয়ে গেলে প্রচুর কর্মসংস্থানও হবে। রাজ্যের বিভিন্ন দুগ্ধ সমবায়গুলি থেকে দুধ সংগ্রহ করবে ‘বাংলা ডেয়ারি’।