প্রতিবেদন : ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রাজ্যের প্রতিটি পঞ্চায়েতে পালিত হবে বাংলা দিবস। মঙ্গলবার রবীন্দ্র সদনে বাংলা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বৈশাখের প্রথম দিনটিকে ‘বাংলা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পয়লা বৈশাখ রাজ্য জুড়ে নববর্ষের ছুটি থাকলেও, সরকারি স্তরে নানা অনুষ্ঠান পালিত হল। সেই মতোই মঙ্গলবার রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উপস্থিতিতে ‘বাংলা দিবস’ উদযাপন হল। জনপ্রিয় শিল্পীদের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হল এদিন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
গত বছর বিধানসভায় সরকারি ভাবে পয়লা বৈশাখ রাজ্য দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর গত বছর ছিল প্রথম রাজ্য দিবস। কিন্তু লোকসভা ভোটের আদর্শ আচরণবিধির কারণে তেমন ভাবে উদযাপন করা যায়নি দিনটি। তাই এবার প্রতিটি ব্লকে ধুমধাম করে রাজ্য দিবস পালনের আয়োজন করা হয়েছিল সরকারি ভাবে। বাংলা সাহিত্য, গান, নৃত্য, লোকশিল্প ও সংস্কৃতির বিশিষ্ট শিল্পীদের পুরস্কৃত করা হয় এদিন। অনুষ্ঠানে রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, গত বছর লোকসভা ভোটের কারণে বাংলা দিবস যথাযথ ভাবে পালন করা যায়নি। কিন্তু এবার প্রতিটি ব্লকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তারপর আবার চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর প্রতিটি পঞ্চায়েতে যথাযথ মর্যাদায় রাজ্য দিবস পালন করা হবে। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, রাজ্য নাট্য অ্যাকাডেমির সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ, জয় গোস্বামী, তথ্য-সংস্কৃতি সচিব শান্তনু বসু-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন রামানুজ দাশগুপ্ত (নজরুল স্মৃতি পুরস্কার), অশোককুমার মিত্র (বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার– শিশুসাহিত্য), শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য (উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পুরস্কার), সুবোধ সরকার (রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার– সাহিত্য), সুজন সেনগুপ্ত (রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার– বিজ্ঞানবিষয়ক), রণবীর সমাদ্দার (রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার– বাংলা ব্যতীত অন্য ভাষায়), আনন্দগোপাল ঘোষ-সহ আরও বিশিষ্ট শিল্পীদের সম্মানিত করা হয়।