প্রতিবেদন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সরকারে আসার পর থেকে একের পর জনমুখী প্রকল্প উপহার দিয়েছেন রাজ্যের মানুষকে। রাজ্যবাসীর জন্য কার্যত জন্ম থেকে মৃত্যু প্রকল্প করেছে তৃণমূল সরকার। তবে শুধু প্রকল্প ঘোষণা করে বসেই নয়, সেগুলি কার্যকরী হচ্ছে কিনা তার হন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সরকারি প্রকল্পে আবেদন এবং তার পরিস্থিতি জানতে গতবছর থেকে রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছে ‘’বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’’ । আর তারই সুফল পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে রাজ্যে মোট ৩,৫৫৪টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চলছে। যাতে উপকৃত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
মূলত, গ্রামগঞ্জের দিকে মানুষ অনেক সময় সরকারি প্রকল্প গুলি সম্পর্কে নিয়ে সঠিক তথ্য জেনে উঠতে পারেন না। তাঁদের জন্য এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খুবই কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধাকে তৃণমূলস্তরে পৌঁছে দিতে সেগুলিকে আরও বেশি সক্রিয় করা হচ্ছে। রাজ্যের সব জেলা মিলিয়ে প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষ এখনও পর্যন্ত উপকৃত হয়েছেন ”বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’’ থেকে তথ্য জেনে।
আরও পড়ুন : জানুন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য
জাতিগত শংসাপত্র, কিষান ক্রেডিট কার্ড, কিষান মান্ডি, বিভিন্ন স্কলারশিপ, করোনা সংক্রান্ত তথ্য থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি জলের লাইন সংযোগ, কন্যাশ্রী, আধারের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযুক্তিকরণ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড—মোট ২৬৭টি প্রকল্পের পরিষেবা মিলছে সেখানে। সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানার সুবিধা এক ছাতার নিচে আসায় বন্ধ হয়েছে সাধারণ মানুষের সমস্যা ও হয়রানি। সবথেকে বেশি আগ্রহ দেখা গিয়েছে করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য জানার ক্ষেত্রে। জাতিগত শংসাপত্র সম্পর্কে তথ্য জানার চাহিদা রয়েছে ঠিক তার পরেই।