প্রতিবেদন : প্রতিবেশী মায়ানমারের গৃহযুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে চায় বাংলাদেশ। কোনও পক্ষে না ঝুঁকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পক্ষপাতী সেদেশের সরকার। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গৃহযুদ্ধের ফলাফল কী হবে আমরা জানি না। এখন বাংলাদেশকে ধৈর্য ধরতে হবে। কোনও উসকানি বা প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের তরফ থেকে এমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া চলবে না, যাতে মনে হতে পারে বাংলাদেশ কোনও এক পক্ষের হয়ে কাজ করছে। হাসিনা বলেন, আমাদের মূল স্বার্থ হল রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানো।
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের পাশে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
এই মুহূর্তে আরাকান আর্মি ও মায়ানমার সেনার লড়াই চলছে উত্তর রাখাইন অঞ্চলে। রাখাইনে যে দুই থেকে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা রয়ে গিয়েছে, তাদেরও অধিকাংশের বাস অশান্ত এলাকাতেই। যদিও লড়াই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নয়, তবু যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নিরাপত্তাও অনিশ্চয়তার মুখে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ফের বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার কোনও অবস্থাতেই আবার আরেকপ্রস্থ শরণার্থীর ঢল সামলাতে অপারগ। তাই নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এখন হাসিনা সরকারের প্রধান মাথাব্যথা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তের দৈর্ঘ্য তুলনামূলকভাবে কম। এই সীমান্তে অনেকটা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রয়োজনীয় পরিমাণ সামরিক সমাবেশ করে। বাংলাদেশের দিক থেকে একধরনের সশস্ত্র নিরপেক্ষতার উপর এখন জোর দিচ্ছে সরকার। বাংলাদেশকে বাদ দিলে যে দুটি বৃহৎ প্রতিবেশীর স্বার্থ রয়েছে মায়ানমারে, তারা হচ্ছে চিন ও ভারত। এর মধ্যে চিন একদিকে যেমন মায়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, অন্যদিকে তেমনি আরাকান আর্মিরও ঘনিষ্ঠ। সেদিক থেকে দেখতে গেলে লড়াইটা বাস্তবে হচ্ছে চিনঘনিষ্ঠ দুটি পক্ষের মধ্যে।