বাংলাদেশের সাংসদ (Bangladesh MP) আনোয়ারুল আজম আনার খুনে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে আসছে নতুন রহস্যের মোড়। রাজ্যের সিআইডির হাতে আসা তথ্যে দেখা গিয়েছে সাংসদের দেহাবশেষ মিট গ্রাইন্ডার দিয়ে পিষে ফেলা হয়। দেহের কোনও চিহ্ন যেন না থাকে সেকারণেইে এই পদ্ধতিতে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও গোয়েন্দাদের হাতে শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে ধরা পড়ে গেল এমপি খুনে অভিযুক্তরা। তদন্তকারীরা জানান সিয়াম হোসেন নামে এক ব্যক্তি কলকাতার নিউ মার্কেট থেকে ২২০০ টাকা দিয়ে একটা গ্রাইন্ডার মেশিন কিনেছিল। সেই মেশিন দিয়ে এমপির দেহাবশেষ পেষা হয়।
আরও পড়ুন-চক্রের মাথা কি ধরা পড়বে? নেট পরীক্ষা বাতিল নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর
ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন সেই মেশিন দিয়ে সমস্ত মাংস পিষে ফেলা যায়নি। কিছু মাংস তারা নিউ টাউনের অ্যাপার্টমেন্টের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছিল। সেই অ্যাপার্টমেন্টেই থাকতেন এমপি। সিআইডি দল ওই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কমপক্ষে ৫ কেজি মাংস উদ্ধার করতে পেরেছে। সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া মাংস মানুষের আর সেটা পুরুষের। তদন্তকারীদের পরবর্তী পদক্ষেপ এখন খুনে ব্যবহার করা অস্ত্র কোথা থেকে কেনা হয়েছিল সেটা জানা। অস্ত্র কেনার পর তার পরবর্তী সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো সংগ্রহ করা গেলে পুলিশের পক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন-চক্রের মাথা কি ধরা পড়বে? নেট পরীক্ষা বাতিল নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর
ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত চালাচ্ছে। তারা আওয়ামি লিগ নেতা সইদুল করিম মিন্টুকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। তাকে জেরা করে পরবর্তী সূত্র খোঁজার চেষ্টা চলছে। এই খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন রাঘববোয়ালের নাম প্রকাশ্যে আসছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে মিন্টুর সঙ্গে অভিযুক্ত শিমূল ভুঁইয়ার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। হোয়াটস অ্যাপ কলের মাধ্যমে কথা হয় তাদের। অন্য এক মহিলা আনারের সঙ্গে এই বছরের প্রথম দিকে কলকাতায় এসেছিলেন। তার সঙ্গে আরেক অভিযুক্ত মডেল সিলেস্টি রহমানের যোগাযোগ ছিল। যদিও রহস্যময়ীর খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ।