প্রতিবেদন : এত কাণ্ডের পরেও বাংলাদেশের প্রতি নরম মনোভাব কেন কেন্দ্রের? ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় বর্মাকে তলব করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে বাংলাদেশ, অথচ দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে কেন ডেকে সতর্ক করছে না মোদি সরকারের বিদেশ দফতর? কেন্দ্রের এই অদ্ভুত ভূমিকাই এখন বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না যে সীমান্তে লাগাতার অস্থিরতা আসলে অকৃতজ্ঞ বাংলাদেশের ইউনুস সরকারেরই ষড়যন্ত্রের পরিণতি। অথচ রবিবার ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের বিদেশ দফতরের উপদেষ্টা মহম্মদ জসিমউদ্দিন সেই দায় চাপিয়ে দিয়েছে ভারতের উপরেই। ভারতকে সতর্ক করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। এরপরেও কেন পালটা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী মোদি? আশ্চর্যের বিষয়, বেশ কিছুদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ক্রমাগত উসকানি দিয়ে চলেছে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। পরিকল্পনামাফিক তৈরি করছে অস্থিরতা। মালদায় বাধা দিচ্ছে কাঁটাতারের বেড়া দিতে। এই জুলুমবাজিতে বিজিবির দোসর হয়েছে ওপারের দুষ্কৃতীরা। বিএসএফের উপরে আক্রমণের ঘটনাও ঘটছে।
আরও পড়ুন-ফের পায়ের ছাপ বাঘের আতঙ্কে কাঁপছে মৈপীঠ
অথচ নির্বিকার, নিরুত্তাপ মোদি সরকার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, যে বিএসএফের একাংশের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ধরে উঠছে চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশে মদত দেওয়ার অভিযোগ, সংকটের সময়ে সেই বিএসএফের এমন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা কেন? কেন বিজিবি এবং ওপারের দুষ্কৃতীদের যোগ্য জবাব দিতে পারছে না তারা? অথচ নিরীহ মানুষকে হেনস্থা করার ব্যাপারে তো কোনও জুড়ি নেই কিছু জওয়ানের। তা হলে বিজিবির মতো একটা তুলনামূলক অনেক দুর্বল বাহিনীকে শায়েস্তা করতে তারা ইতস্তত করছে কোন যুক্তিতে? কেন্দ্রই বা অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিচ্ছে না কেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে?