সংবাদদাতা, কোচবিহার: বিএসএফ (BSF) নিষ্ক্রিয়, উদাসীন তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল। সোমবার জিরো খতিয়ান জমিতে কৃষিকাজে গিয়ে বিএসএফের চোখের সামনে বাংলাদেশের দুষ্কৃতী তুলে নিয়ে যায় শীতলকুচির কৃষক কৃষ্ণকান্ত বর্মনকে। এই ঘটনার পরই বারবার ওই কৃষককে ফেরাতে চাপ দিতে থাকে রাজ্য। অবশেষে চাপে পড়ে অপহৃত কৃষককে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ। পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, অপহৃত ব্যক্তিকে বিজিবি এদিন সন্ধ্যায় বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। দুপুর থেকে এসডিপিও ও শীতলকুচি থানার ওসিরা মিরাপাড়া বিওপিতে ছিলেন। প্রসঙ্গত, কৃষক অপহরণের পর প্রশ্ন উঠতে থাকে, কী করছিল বিএসএফ (BSF)? কেন বারবার এই ঘটনা ঘটছে? মিরাপাড়ার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ৩৪ নম্বর সীমান্ত গেটের কাছে জড়ো হন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, দ্রুত ওই কৃষককে ফেরাতে কেন্দ্র সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। বিএসএফের সামনে বারংবার এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। উকিল বর্মনের মতো কৃষ্ণকান্ত বর্মনকে অপহরণ করা হল। কেন্দ্র অতি দ্রুত তাঁকে ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে সীমান্তে গণ আন্দোলন হবে। ঠিক কী ঘটেছিল? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের দিক থেকে প্রায় পাঁচজন দুষ্কৃতী এসে প্রথমে ওই কৃষকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিল। এরপরে কৃষককে কাঁধে করে তুলে নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচি থানার মিরাপাড়াতে। ফের এক ভারতীয় কৃষককে তাঁর জমি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল শীতলকুচি সীমান্তে ভারতীয় কৃষক উকিল বর্মনকে এভাবে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ও প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় পুলিশ এসডিপিও-র সঙ্গে কথা বলেন। অবশেষে রাজ্যের চাপে পড়ে ফেরানো হয় কৃষককে।