প্রতিবেদন: মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সংরক্ষণের বিরোধিতায় প্রবল বিক্ষোভ ও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় উত্তাল বাংলাদেশ। ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনের জেরে কার্যত অগ্নিগর্ভ ঢাকা (Dhaka University)। পরিস্থিতির চাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বুধবারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্র-যুব আন্দোলনের তেজ বেড়েই চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘কোট’ মন্তব্যের প্রতিবাদ করে ইতিমধ্যে ঢাকা, জাহাঙ্গিরনগর, শাহজাহাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন পড়ুয়ারা। আর এই আন্দোলন চলাকালীন এবার বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেদেশের সরকারের তরফে প্রতিনিধিরা বলছেন, আন্দোলন দমনে কঠোর পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না সরকার। এই অবস্থায় শিক্ষার্থী এবং আবাসিকদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা। সোমবারই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল ছাত্র লিগের বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগেরই ছাত্র সংগঠন হল ছাত্র লিগ। দুই পক্ষের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার দু’জন, চট্টগ্রামের তিনজন ও রংপুরের একজন রয়েছেন। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অপমানজনক’ দাবি করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়েছেন, আদালতের চূড়ান্ত রায় মেনেই তাঁরা সবকিছু করবেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, আদালতের বিষয় আদালতেই সমাধান হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: ন্যায় সংহিতা পর্যালোচনায় রিভিউ কমিটি গঠন করল রাজ্য সরকার